ঢাকা: শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।একে আমরা দেখেছি পুকুরে, খালে, বিলে কিংবা কোনো বৃষ্টিজল ভরা জলাশয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে।কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, এই শাপলা শুধু প্রকৃতির নয়, আমাদের জীবনের স্টাইলেও জায়গা করে নিতে পারে?
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে মানসিক প্রশান্তি, শেকড়ের টান আর প্রাকৃতিক ছোঁয়া পেতে এই জলজ ফুল হতে পারে আপনার জীবনের এক অনন্য উপাদান।
শাপলা মানেই গ্রামবাংলার এক অনুপম সৌন্দর্য।বৃষ্টিভেজা মাঠ, কাদামাটি মাখা পথ আর সেই পথে হেঁটে যাওয়া কোনো কিশোরীর হাতে শাপলার তোড়া এ দৃশ্য যেন ছবির মতো।
যারা শহরে বসবাস করেন, তাদের কাছে শাপলা হয়ে উঠতে পারে এক ‘নস্টালজিক থেরাপি’।সপ্তাহের ক্লান্তি ভুলে ছুটির দিনে কার্নিশে রাখা একগুচ্ছ শাপলা অনেকটা শান্তি এনে দিতে পারে মন ও চোখে।
শুধু ফুল নয়, শাপলার ডাঁটা দিয়ে গ্রাম বাংলায় তৈরি হয় সুস্বাদু সব তরকারি।শুধু ডাল আর শাপলার ডাঁটা দিয়েই তৈরি হতে পারে এক দুর্দান্ত স্বাস্থ্যকর খাবার।যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক নতুন সবজি এক্সপেরিমেন্ট।ভিটামিন ও আঁশসমৃদ্ধ এই ডাঁটা পেটের জন্যও উপকারী।
আজকাল অনেকেই বাসা সাজাতে খোঁজেন দেশীয় সৌন্দর্য।শাপলা ফুল কিংবা শাপলা মোটিফ দেওয়া কুশন কভার, ওয়াল আর্ট বা টেবিলম্যাট বাড়িতে এনে দিতে পারে শেকড়ের এক অপূর্ব আমেজ।বিশেষ করে যারা মিনি মালিস্ট ডিজাইন পছন্দ করেন, তাদের জন্য সাদা বা হালকা গোলাপি শাপলা ফুল হতে পারে চমৎকার প্রাকৃতিক ডেকোর আইটেম।
শাপলা ফুলের বিশেষত্ব হলো, এটি দেখে মন স্বাভাবিকভাবেই শান্ত হয়ে আসে।গবেষণায় দেখা গেছে, জলজ ফুল বা জলভিত্তিক প্রাকৃতিক দৃশ্য মানুষের মানসিক চাপ কমায়।যারা নিয়মিত ধ্যান বা যোগ ব্যায়াম করেন, তারা পাশে একটি ফুলদানিতে রাখা শাপলা ফুল দিয়ে শুরু করতে পারেন তাদের দিন। সেই ফুলের নীরবতা আপনাকে নিয়ে যাবে এক গভীর আত্মসংলাপের পথে।
সুন্দর এই ফুল এখন আর শুধু প্রকৃতির মাঝে নয়, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টিকটকেও জায়গা করে নিচ্ছে। কেউ শাপলার সঙ্গে রিল বানাচ্ছে, কেউ আঁকছে শাপলা নিয়ে চিত্র, কেউ বা লিখছে কবিতা। অনেক ফটোগ্রাফার শাপলা ফুলকে ব্যবহার করছেন ন্যাচারাল বুটিক ফটোশুটের জন্য। ট্র্যাডিশন আর ট্রেন্ড এক সঙ্গে খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুর্লভ আর শাপলা ঠিক সেই কাজটিই করছে।
আইএ







































