ঢাকা: বলা হয়ে থাকে, মানুষের মেজাজের সঙ্গে গন্ধেরও সম্পর্ক রয়েছে। সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফুল শুঁকলে মন, মেজাজ কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভালো হয়ে যায়। এয়ার ফ্রেশনারও তেমনই। ঘরে, গাড়িতে- নানা জায়গায়ই ব্যবহার করা হয় এই সুগন্ধি।
এয়ার ফ্রেশনারের সুন্দর এই গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণের জন্য ভালোই লাগে। মন ভালো থাকে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই কোনো বিপদ ডেকে নিয়ে আসছি কি না, তা আমরা কখনো ভাবি না। এই বিষয়গুলো জানলে হয়তো সতর্ক হওয়ার কথা মনে পড়বে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ার ফ্রেশনারে থাকে এমন কিছু উপাদান, যা দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও স্বাস্থ্যের দিক থেকে বড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
এয়ার ফ্রেশনারে ভোলাটাইল অর্গ্যানিক কমপাউন্ডস নামের এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ঘরে হয়তো সুগন্ধ থাকে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভাবলে এই উপাদান লিভার ও কিডনির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। ঘরের ভেন্টিলেশন ঠিক না থাকলে এই উপাদান আরো ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
এর মধ্যে থাকতে পারে হরমোনের সমস্যাজনিত উপাদানও। অনেক এয়ার ফ্রেশনারেই থ্যালেটস ব্যবহার করা হয়। যাতে গন্ধটা দীর্ঘ সময় থাকে। কিন্তু এই উপাদান চিন্তারও বিষয়।
এই কেমিক্যালের ফলে হরমোনজনিত সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী নারী ও ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে। অনেক সময় আবার এয়ার ফ্রেশনারের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা এবং যাদের অ্যাজমা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এয়ার ফ্রেশনার। যা হয়তো প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না। তবে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি বাড়িতে পোষ্য থাকলে, তাদেরও ক্ষতি করতে পারে এয়ার ফ্রেশনার। তাদের মধ্যে স্কিনের সমস্যা, আচরণগত পরিবর্তনও খেয়াল করতে পারেন। পোষ্যের সুস্বাস্থ্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে এই এয়ার ফ্রেশনার।
ইউআর







































