• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

যে ৬ কারণে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েই চলেছে


সোনালীনিউজ ডেস্ক  সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৩:০১ পিএম
যে ৬ কারণে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েই চলেছে

ঢাকা: দুজন মানুষের মধ্যে অনেক কারণেই ডিভোর্স বা বিচ্ছেদ হতে পারে। যখন কেউ তার সঙ্গীর সঙ্গে একদমই মানিয়ে নিতে পারে না কিংবা দুজনেরই মনে হয়, একটা সম্পর্ক চালিয়ে নিতে যা যা করা দরকার তা তারা করে ফেলেছেন, নতুন করে এই সম্পর্ককে তাদের আর কিছুই দেওয়ার নেই—ঠিক তখনই তা বিচ্ছেদের দিকে এগোয়।

কিছু কারণ আছে, যেগুলো দুজন মানুষকে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে বিচ্ছেদের সংখ্যা কম মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনের বিয়ে বিচ্ছেদে এসে শেষ হয় এবং সেই বিচ্ছেদ ঘটে তাদের বিয়ের সাত বছরের মধ্যেই।

চলুন, জেনে নিই বিচ্ছেদের জন্য দায়ী প্রধান কিছু কারণ সম্পর্কে—

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক

বিয়ে ভাঙার জন্য বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বহুলাংশে দায়ী। বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা কোনো নারী বা পুরুষ যখন তাদের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো নারী বা পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তখন সেই বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য। কারণ, কোনো মানুষই তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে ধোঁকা মেনে নিতে পারে না। বিচ্ছেদের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ঘটনা শুধু এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই ঘটে থাকে।

অর্থনৈতিক সমস্যা

অর্থনৈতিক সংকট সংসারজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং এর ফলে ঘটতে পারে বিচ্ছেদ। সংসারে অর্থনৈতিকভাবে কে কতখানি অবদান রাখছে, তার ওপর সংসারের নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে। সঙ্গীদের মধ্যে অর্থ নিয়ে ঝামেলা বা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার কামনা থেকেও বিচ্ছেদ ঘটে।

নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব

নিজেদের মধ্যে সঠিক যোগাযোগ বা কথাবার্তা কম বলা এবং একে অপরের কম খোঁজ-খবর রাখার কারণেও কিন্তু বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। দুজন একই সঙ্গে থেকে যখন একে অপরের খোঁজ রাখেন না, তাদের জীবনে কী চলছে সেটা জানতে চেষ্টা করেন না, তখন সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। আবার সঙ্গীর সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলা, তাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করা, সারা দিন তার খোঁজ না নেওয়া—এসব কাজও বিচ্ছেদকে ত্বরান্বিত করে।

অতিরিক্ত চাহিদা

সঙ্গীর কাছ থেকে অতিরিক্ত চাহিদা রাখাও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে অতিরিক্ত চাহিদা, যেমন—টাকা-পয়সা, অলংকার ইত্যাদি চাওয়া তার ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলতে পারে। আবার নারী সঙ্গীকে সব সময় টিপটপ, স্লিম হিসেবে পেতে চাওয়ায় নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব চাপ যখন মানুষ আর নিতে পারে না, তখন তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটে।

ঘনিষ্ঠতা বা আকর্ষণের অভাব

সঙ্গীর প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ বোধ যদি না থাকে বা ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য। আকর্ষণ হতে পারে শারীরিক বা মানসিক। যদিও একটি সুস্থ-সুন্দর সম্পর্কের জন্য শারীরিক ও মানসিক দুই রকম আকর্ষণই জরুরি। এটা চলে গেলে দুজন মানুষ আর সেই সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে পারেন না।

মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন

সঙ্গীর কাছ থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া খুবই কষ্টের বিষয়। নির্যাতন যে শুধু শারীরিক হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় শারীরিক নির্যাতনের চেয়ে মানসিক নির্যাতন বেশি প্রভাব ফেলে মানুষের জীবনে। এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে অবশ্যই সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নির্যাতনের কারণে সম্পর্কচ্ছেদের হার কিন্তু অনেক বেশি—প্রায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!