• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

ডিএনএ পরীক্ষায় দুই মর‌দে‌হের পরিচয় শনাক্ত, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
ডিএনএ পরীক্ষায় দুই মর‌দে‌হের পরিচয় শনাক্ত, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীই বৃষ্টি

ঢাকা : রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহতদের মধ্যে মর্গে থাকা দুই মর‌দে‌হের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুল হোসেন। অপরজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত বৃষ্টি খাতুন।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, ডিএনএ পরীক্ষায় বৃষ্টি খাতুন ও নাজমুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডিএনএ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।

তিনি আরো বলেন, অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুনের বাবা-মা দাবিদার সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি নিহত নারীর মরদেহ থেকেও ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। সিআইডি ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ ও মা বিউটি খাতুন।

নাজমুলের মা বাবারও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ডিএনএ প্রতিবেদন থানায় পাঠানো হবে। দুজ‌নের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য বলা হবে।

বৃষ্টির বাবা দাবিদার সবুজ শেখ জানান, ডিএনএর বিষয়ে এখনো অফিসিয়ালি তাদের কিছু জানানো হয়নি।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন এই বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মী মহল এবং অভিশ্রুত শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। ধর্মীয় পরিচয় না জানার তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন।

অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়।

মর্গে থাকা অপর মর‌দেহ রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীর বাসিন্দা আলহাজ নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন। পরিবার জানায়, নাজমুলরা চার বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে যান। পরে আর কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!