• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে ‘এমভি রুয়েন’ যেভাবে উদ্ধার হলো


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৮, ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে ‘এমভি রুয়েন’ যেভাবে উদ্ধার হলো

ঢাকা : সোমালি উপকূলে তিন মাস আগে জলদস্যুদের ছিনিয়ে নেওয়া পণ্যবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধারে ৪০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী; আরব সাগরে দুস্যদের আটকের পাশাপাশি মুক্ত করেছে জিম্মি নাবিকদের।

নিবিড়ভাবে গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পর সমুদ্রে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এমভি রুয়েন উদ্ধারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন নৌবাহিনীর কমান্ডরা; শ্বাসরুদ্ধকর মিশন শেষে জাহাজটির ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছে জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের দখলে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সময়ও ব্যবহার করে থাকতে পারে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের ধারণা।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশী।

সবশেষ রোববার (১৭ মার্চ) রাতে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয় উপকূলের গারাকাড এলাকা থেকে উত্তর দিকে ৪৫-৫০ মাইল দূরে আছে। ওই স্থানটি গদবজিরান উপকূল থেকে ৪ মাইল দূরে।

এ কারণে রুয়েন উদ্ধারের ঘটনা শুক্রবার থেকে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

জাহাজটি উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিচালিত অভিযানের বিস্তারিত রোববার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে; প্রকাশ করা হয়েছে গভীর সাগরে পরিচালিত এ মিশনের ভিডিও।

বিজ্ঞপ্তি ও ভিডিও এর তথ্য অনুযায়ী, আরব সাগরের এ মিশনে নিয়োজিত ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কলকাতা ৪০ ঘণ্টার এই উচ্চ মাত্রার অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের টুকরো টুকরো ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এমবি রুয়েন ঘিরে টহল, প্যারাশুট থেকে কমান্ডোদের নেমে আসা, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পন এবং জিম্মি নাবিকের মুক্ত করে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনার দৃশ্য দেখা গেছে।

শনিবারের ওই অভিযানের মাধ্যমে এমভি রুয়েনকে ব্যবহার করে সাগরের ওই অংশে জলদস্যুদের অন্য জাহাজ ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় নৌবাহিনী।

মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেটি ব্যবহার করে তারা অন্য জাহাজ ছিনিয়ে নিতে সাগরে ঘুরছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী ওই অঞ্চলে ব্যাপক নজরদারি চালু রেখেছে এবং ওই অঞ্চলের চলাচলকারী নৌযানের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করে।

নজরদারিতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজ এমভি রুয়েনের গতিবিধি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস কলকাতা শুক্রবার সকালে সোমালিয়া উপকূলের প্রায় ২৬০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে এমভি রুয়েনের গতিরোধ করতে সমর্থ হয়।

এ সময় ভারতীয় নৌবাহিনী ড্রোন উড়িয়ে এমভি রুয়েনের জলদস্যু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

কিন্তু ড্রোনের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। তারা ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি করে। এমনিক ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজেও গুলি চালায়।

উদ্ধার অভিযানের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরপর আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এমভি রুয়েন উদ্ধারে সমন্বিত অভিযান চালানো হয়।

এ সময় এমভি রুয়েনের স্টিয়ারিং সিস্টেম ও নেভিগেশনাল উপকরণগুলো অকার্যকর করে দিয়ে সেটিকে আটক করতে সক্ষম হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কলকাতা। এতে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এমভি রুয়েন থামতে বাধ্য হয়।

এমভি রুয়েনের কাছাকাছি অবস্থানের সময় আইএনএস কলকাতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়। পাশাপাশি জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছিল।

এর ফলে এক পর্যায়ে জলদস্যুরা আত্মসমর্পন করতে সম্মত হয়, জাহাজটি ছেড়ে দেয় এবং জাহাজে থাকা সব ক্রুকে মুক্তি দেয়।

এই জলদস্যুতা বিরোধী অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনী দেশটির মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ নটিক্যাল মাইল পথ পাড়ি দেয়। অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুভদ্রা।

পাশপাশি সি-১৭ যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে মেরিন কমান্ডোরাও অভিযান স্থলে পৌঁছায় শনিবার।

ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের মাইক্রোব্লগিং এক্স হ্যান্ডেল ‘স্পোকসপার্সন নেভি’ থেকে রোববার রাতের এক বার্তায় এই অভিযানের চারটি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করে। এসব ভিডিওতে মেরিন কমান্ডোরা প্যারাশুট থেকে অভিযান স্থলে নামতে দেখা যায়।

এরমধ্যে প্রথম ভিডিওটিতে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজ লক্ষ্য করে ওয়ার্নিং শট (সতর্কতামূলক গুলি) করার দৃশ্য আছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজে তখন জিম্মি নাবিকদের ডেকের সামনের দিকে রেখে মানবঢাল তৈরি করেছে জলদস্যুরা।

দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এমভি রুয়েনের পাশ দিয়ে চক্কর দিচ্ছে। এসময় জাহাজের ডেকের উপর ৩০-৩৫ জনকে দুই সারিতে বসে থাকতে দেখা যায়। অদূরেই সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজকেও অবস্থান করতে দেখা যায় এই ভিডিওতে।

তৃতীয় ভিডিওতে এমভি রুয়েনের একদম কাছেই একটি সাদা রঙের ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজকে দেখা যায়। তখন বিমান থেকে প্যারাশুটে চড়ে মেরিন কমান্ডোরা সাগরে অবতরণ করছিল। এসময় আশেপাশে দ্রতগতির বোটে ভারতীয় নৌ কমান্ডোর অবস্থান করতে দেখা যায়।

চতুর্থ ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজে থাকা জলদস্যুরা আত্মসমর্পন করছে। তারা খালি গায়ে মাথার উপর হাত তুলে বসে আছে। তাদের আশেপাশে অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোরা। এরপর জিম্মি নাবিকের মুক্ত করে জাহাজ থেকে নামিয়ে নেয়া হয়।

এর আগে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এক বার্তায়, এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার কথা জানানো হয়। ৩৫ জন জলদস্যুও আত্মসমর্পন করেছিল বলে তাতে উল্লেখ ছিল।

পাশাপাশি এমভি রুয়েনকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেইল আরপিএ এবং পিএইটআই বিমান থেকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।
৪০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে কাবু জলদস্যুরা, উদ্ধার এমভি ‘রুয়েন’

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর এক্স হ্যান্ডেলে আরেক পোস্টে জানিয়েছিল, ভারত মহাসাগরে ছিনিয়ে নেওয়া জাহাজ এমভি রুয়েনে চড়ে সোমালি জলদস্যুদের অন্য জাহাজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে।

এতে একটি ১০ সেকেন্ডের ভিডিও সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি এমভি রুয়েন এর দুটি ছবি দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে অস্ত্র হাতে এমভি রুয়েন থেকে সোমালি জলদস্যুকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। হাতে থাকা একটি ভারি অস্ত্র থেকে দুবার গুলি ছোড়া হয়। ছবিতে এমভি রুয়েন এর উপর থাকা জলদস্যুদের দেখা যায়।

ইইউএনএভিএফওআর এর প্রতিবেদনে বলা হয়, জলদস্যুরা সচরাচর ছিনিয়ে জাহাজ পরবর্তীতে অন্য জাহাজ ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে মাদার ভেসেল হিসেবে ব্যবহার করে।

মাদার শিপ হিসেবে ব্যবহার করা সেই জাহাজ নিয়েই পূর্ব সোমালি উপকূলের ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত চষে বেড়ায় জলদস্যুরা।

এরপর ছিনিয়ে নেয়ার জন্য নির্ধারণ করা জাহাজ যদি তাদের আক্রমণ ঠেকাতে না পারে তাহলে সেই জাহাজে উঠে পড়ে জলদস্যুরা। তারপর নতুন ছিনতাই করা জাহাজ নিয়ে তারা সোমালি উপকূলে চলে যায়। এবং মুক্তিপণের আলোচনা চলা পর্যন্ত সেটিকে সেখানে আটকে রাখে।
৪০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে কাবু জলদস্যুরা, উদ্ধার এমভি ‘রুয়েন’

মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের জাহাজটির গতিবিধি উল্লেখ করে প্রতিবদেনে বলা হয়, ছিনিয়ে নেওয়ার পর রুয়েন জাহাজটিকে সোমালি উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখন সেই জাহাজটি উপকূল থেকে দূরে সরতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি বাণিজ্যিক জাহাজে জলদস্যুতা এবং সশস্ত্র অবস্থায় জলদস্যুদের জাহাজ নিয়ে চলাচলের একাধিক ঘটনা ঘটায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অনুসরণ করে সোমালি উপকূলে জাহাজগুলোকে চলাচল করতে বলেছে আটলান্টা অপারেশন।

রোববার (১৭ মার্চ) রাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযানে ক্রমাগত জলদস্যুদের উপর চাপ প্রয়োগ এবং ধারাবাহিক পদক্ষেপের কারণে সব নাবিকদের মুক্ত করা এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পনে বাধ্য করা সম্ভব হয়।

এরপর এমভি রুয়েনে কোনো অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তল্লাশী চালানো হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, এমভি রুয়েনে ৩৭ হাজার ৮০০ টন ওজনের পণ্য আছে। জাহাজটি সাগরে চলাচলে সক্ষম কি না তা যাচাই শেষে জাহাজটি ভারতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।

ভারত মহাসাগরের ওই অঞ্চলে এমভি রুয়েন উদ্ধারের সফল অভিযান সেখানে জলদস্যুতার পুনরুত্থানকে ব্যর্থ করার প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির প্রকাশ।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে স্পোকসপার্সন নেভি’র আরেক বার্তায় বলা হয়, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু সশস্ত্র জলদস্যুদের জাহাজের নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করায় জাহাজটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গত ১২ মার্চ বিকালে এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান চিহ্নিত করার পর নাবিকদের অবস্থা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনেরও চেষ্টা করা হয় বলে জানায় ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু তখন এমভি আবদুল্লাহ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ অভিযানে মোতায়েন করা ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তর্কশ বৃহস্পতিবার সকালে ছিনতাই হওয়া এমভি আবদুল্লাহকে আটকাতে সমর্থ হয়েছিল বলেও শুক্রবার বিকেলের ওই এক্স বার্তায় বলা হয়।

কিন্তু এমভি আবদুল্লাহতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক নাবিকরা সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিল। ক্রুদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জাহাজটিকে আবার চলতে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি কারণ এতে নাবিকরা হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমাদের যুদ্ধজাহাজটি কাছাকাছি থেকে এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছিল।

এরপর এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করা পর্যন্ত কাছাকাছি দূরত্বে থেকে জাহাজটিকে অনুসরণ করে ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই জাহাজ।

এর আগে চলতি বছর ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া দুটি ইরানি ফিশিং ট্রলার আক্রান্ত হওয়ার দিনই অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। এ দুটি ফিশিং ট্রলারের নাবিকদেরও তারা উদ্ধার করেছিল।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!