ঢাকা: ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াত ও রাত্রি যাপন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট রাজধানী ঢাকার পল্টনস্থ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষন উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান জনাব শিবলুল আজম কোরেশী। বক্তব্যে তিনি বলেন: ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় জনগণ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎসজীবি, চাকুরীজীবি, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল, রিসোর্ট মালিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রি যাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এখানে আর্থিক সংকট ও অভাব দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত। পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত অসংখ্য চাকুরীজীবি বেকার হয়ে পড়েছে। উদ্যোক্তারা পথে বসে গেছে। হোটেল রিসোর্ট মালিকদের বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি ও মানবিক সংকটের কথা বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানাচিৎ।
সভায় সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলসদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবছর ০১ অক্টোবর থেকে ৩১ই মার্চ পর্যন্ত পর্যটন যাতায়াত করে থাকে, কিন্তু এ বছর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের থেকে পর্যটন সিমীতকরনের আদেশ জারি করে। আদেশে বলা হয় নভেম্বর মাসে পর্যটকগণ সেন্টমার্টিন যেতে পারবে কিন্তু রাত্রি যাপন করতে পারবে না।
ডিসেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারী ২০২৫-এ ২০০০ পর্যটক যেতে পারবে ও রাত্রি যাপন করতে পারবে এবং ফেব্রুয়ারী মাসে পর্যটকগণ সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না কিন্তু যথাযথ সময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়াতে নবেম্বর ২০২৪-এ একজন পর্যটকও সেন্টমার্টিন যেতে পারেন নি। ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি হলেও ট্রাভেল পাস সংগ্রহের আতংকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারেন নি।
যার কারণে শতভাগ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল সেন্টমার্টিনবাসি এবং পর্যটন ব্যাবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ২ মাসের আয় দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসির ১২ মাস চলা সম্ভব নয়। মানবিক বিবেচনায় পর্যটকদের জনা ২৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় টুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (টোয়াব) এর নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার এর নেতৃবৃন্দ, সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন, ই-ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ট্যাব) এর নেতৃবৃন্দ, সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বোট মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ, মৎসজীবি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-করুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ভূয়াব) এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এম