ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গত ২০ ঘন্টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও ৩ শিক্ষর্থীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা গেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০)।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ১৫ বছর বয়সী মাহতাব রহমান এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় ১৫ বছরের মাহিয়ার মৃত্যুর খবর আসে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন তাদের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
আয়মানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ দাঁড়িয়েছে বলে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে আমাদের রক্তের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোনো ধরনের স্কিন ডোনেশনের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ সরকার থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও লজিস্টিক সাপোর্ট আমরা পাচ্ছি।
তিনি জানান, বর্তমানে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন মোট ৪২ জন। এর মধ্যে ৮ জন আইসিইউতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নতির কারণে দুইজনকে আইসিইউ থেকে ইন্টারমিডিয়েট কেয়ারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর হলো—২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সংকটাপন্ন দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকাল সাড়ে ৪টায় মারা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আরও জানান, চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিচ্ছি। সিঙ্গাপুর এবং ভারতের বিশেষজ্ঞরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। চীনের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে। তারা শিগগিরই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন।
আইএ







































