• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ঢাকায় আসবে জ্বালানি তেল, উদ্বোধন শনিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক:  আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ঢাকায় আসবে জ্বালানি তেল, উদ্বোধন শনিবার

ঢাকা : চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের গুপ্তাখালে পদ্মা অয়েল টার্মিনালে এই সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হবে। শনিবার (১৬ আগস্ট) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের এই কার্যক্রম দেশের জ্বালানি খাতের ইতিহাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তেল চুরি ও অপচয় ঠেকানোর পাশাপাশি এটি জ্বালানি সরবরাহের সময় কমাবে, সড়কপথে যানজট হ্রাস করবে ও পরিবহন ব্যয় কমিয়ে আনবে। 

৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।

এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েক দফায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। গত দেড় মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় প্রায় পাঁচ কোটি লিটার ডিজেল পাঠানো হয়েছে পাইপলাইনে।

২০১৫ সালে জ্বালানি পরিবহনের খরচ কমানো ও চুরি ঠেকানোর লক্ষ্যে এই পাইপলাইনের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সেবার বিপিসি একটি সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন করে এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া হয়।

২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) 'চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা জ্বালানি তেল পরিবহনের পাইপলাইন নির্মাণ' প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এ প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা।

পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য মোট ২৫০ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ হয়ে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৪১.২৮ কিলোমিটার এই পাইপলাইন নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ৮.২৯ কিমি দীর্ঘ ১০ ইঞ্চি ব্যাসের আরেকটি সংযোগ পাইপলাইন রয়েছে।

এই রুটে পাইপলাইন ২২টি নদী ও খাল পার হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি বড় নদীও রয়েছে। এসব জায়গায় নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য বেশিরভাগ অংশ নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে।

পিএস

Wordbridge School
Link copied!