ঢাকা: পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এ ধাপে অন্তত ৭৫ শতাংশ আবেদনকারীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে, যাদের অনেকে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় সরকার সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্ট পেতে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পদক্ষেপের ফলে পাসপোর্ট ইস্যুর গতি যেমন বাড়বে, তেমনি আবেদনকারীরা অপ্রয়োজনীয় হয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতি থেকে মুক্ত হবেন।
পাসপোর্ট হলো বিদেশে কাজ, পড়াশোনা কিংবা চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রথম শর্ত। আগে প্রবাসে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদনকারী, বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থী কিংবা ব্যবসা ও পেশাগত কারণে যাতায়াতকারীদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো। ভেরিফিকেশনের নামে অনেকে বাধ্য হতেন অনৈতিক আর্থিক লেনদেনে। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এই জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে।
সরকারি পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী, পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় ঘুষের অভিযোগের বড় অংশ এসেছে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় থেকে। এখন এই ধাপ বাদ যাওয়ায় দুর্নীতির বড় একটি পথ বন্ধ হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত ও স্বচ্ছ সেবা পেয়ে মানুষের আস্থাও বাড়বে।
পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষকে আর ঘুষ দিয়ে কিংবা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কষ্ট পেতে হবে না। বিদেশে কাজ, পড়াশোনা, ভ্রমণ বা পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের সুযোগ আরও সহজ হবে। এর ফলে রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি বাড়বে, যা সরকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করবে।
ওএফ







































