ঢাকা : নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জাফর রাজা চৌধুরী বলেছেন, “নিমো লার্নিং একটি শিক্ষা ও গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। যা প্রযুক্তিনির্ভর বই, খেলনা ও শিক্ষামূলক উপকরণের মাধ্যমে শিশু এবং নিরক্ষর মানুষকে আনন্দদায়ক শিখনপদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করাতে কাজ করছে।”
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে সাক্ষরতায় বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামীর পরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
নিমো লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সোহরাব হাসান, খ্যাতিমান অভিনেত্রী দিলারা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও একাডেমিয়া লিমিটেডের এমডি ড. মো. কুতুবউদ্দিন, বিএনসিসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী এবং এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর রবিউল কবির চৌধুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিম্নমানের প্রাথমিক শিক্ষা, কিছু এনজিওর প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম, দুর্বল সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং গণসচেতনতার অভাবের কারণে অনেক নব্য সাক্ষরকারী পুনরায় নিরক্ষর হয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়মুখী শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণের সংস্কার, বিদ্যালয়কে আকর্ষণীয় করা এবং “গ্রাম শিক্ষা ও বিনোদন কেন্দ্র” পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশে গড় সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশে। এর মধ্যে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮০ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারীদের ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আগে কেবল নাম লিখতে পারলেই স্বাক্ষর বলা হতো। তবে বর্তমানে সাক্ষরতা বলতে বোঝানো হয়—পড়তে ও বুঝতে পারা, লিখে মনের ভাব প্রকাশ করা, গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে কর্মদক্ষতা অর্জন করা। উক্ত সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
সেমিনারে শিক্ষাবিদরা বলেন, কর্মমুখী দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধকে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে বাংলাদেশে টেকসই সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব হবে।
এস/পিএস







































