• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

প্রেস সচিব

‘আ.লীগের সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম, দলটি এখন ভাড়াটে দুষ্কৃতকারীর ওপর নির্ভরশীল’


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১০:৪২ এএম
‘আ.লীগের সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম, দলটি এখন ভাড়াটে দুষ্কৃতকারীর ওপর নির্ভরশীল’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন আর একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক দল নয়, বরং একটি ফেসবুকভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম। তার মতে, আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম, এবং দলটি এখন ক্রমেই ভাড়াটে দুষ্কৃতকারীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এক ফেসবুক পোস্ট-এ শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,
 আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ এবং বর্তমান বাস্তবতা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠন হয় ভেঙে গেছে, নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দ্বারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেছেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। তার এই বিশ্বাসের পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে, যেগুলো তিনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

১. বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন

বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা ছিল, তা পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, মনোনয়ন ঘোষণা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং মাত্র কয়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত ছিল। এটি প্রমাণ করে যে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, যার ফলে দলের ভেতর কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।

২. আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তির সীমাবদ্ধতা

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে আসছে যে তাদের একটি শক্তিশালী তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যেকোনো নির্বাচন ব্যাহত করার ক্ষমতা রাখে। তবে, শফিকুল আলমের মতে, বাস্তবে দলটির সাংগঠনিক শক্তি সীমিত হয়ে পড়েছে এবং তারা এখন ভাড়াটে গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারীদের ওপর নির্ভরশীল, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁকা বাসে আগুন দেওয়ার মতো কাজ করতে পারে। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো বড় অস্থিরতা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা খুবই কম।

৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী

শফিকুল আলম তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়া এবং পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের দক্ষতার কারণে, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে।

তার মতে, এখন পুলিশ ও প্রশাসন আগের চেয়ে আরও সংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচনী তদারকিতে সবচেয়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিচালনায় সহায়ক হবে।

বিশ্বস্ততা: 'শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে'

শফিকুল আলম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আসন্ন নির্বাচনে কোনো বড় ধরনের অস্থিরতা হবে না এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আসন্ন নির্বাচনে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে পাব।

এম

Wordbridge School
Link copied!