ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেছেন।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি নামে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগুনে পোড়া রোগীদের সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধা থাকায় এই ইনস্টিটিউট এই রোগীদের চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবার চাহিদা মেটাতে এই ইনস্টিটিউট আরো বেশি রোগীর সেবার ব্যবস্থা করবে।
১২ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে আধুনিক সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকবে। এতে পাঁচশ শয্যা, ৫০টি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট এবং ১২টি অপারেশন থিয়েটার থাকবে।
বর্তমানে দেড় কোটি মানুষের জন্য একজন প্লাস্টিক সার্জন রয়েছেন। বছরে প্রায় ১০ লাখ লোক আগুনে পুড়ে যাওয়ার শিকার হয়। তাদের ৮০ ভাগেরই প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয়। পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারির চিকিত্সা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। পোড়া রোগীদের কারো কারো হাত, পা, শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ বেঁকে যায়। এক্ষেত্রে তাদের প্লাস্টিক সার্জারি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই সার্জারি করার পর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। পোড়া থেকে প্লাস্টিক সার্জারির আগ পর্যন্ত রোগীদের কি যে দুর্বিষহ অবস্থা তা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। তবে পোড়া রোগীদের প্লাস্টিক সার্জনের অধীনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চিকিত্সা প্রদান করা হলে এক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন খুব কম হয়। এছাড়া ঘটনা-দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয়।
ক্যান্সার সার্জারি, স্তন ক্যান্সার সার্জারি ও সংক্রমণের কারণে হাতের সার্জারির ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। জন্মগত ত্রুটি, ঠোঁট কাটা, তালু কাটাদেরও প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয়। এছাড়া প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের স্কিন সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। যার নাম স্কিন ব্যাংক। পোড়া কোনো রোগীর স্কিন প্রয়োজন হলে সেখান থেকে স্কিন গ্রাফটিং করার জন্য নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এই ইনস্টিটিউটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূলভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন







































