ঢাকা: ২০১৯ সালে বুয়েটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসন আমলে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ে নিহত শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান তিনি।
বরকত উল্লাহ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চব্বিশের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় নিহতদের তালিকার করা হলেও ক্যাম্পাসের হলে হলে র্যাগিংয়ে নিহতদের জন্য কোনো কিছু করা হচ্ছে না।
৬ বছর আগে আমার ছেলে বুয়েটে ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত হলেও এখনও বিচার পাইনি। বর্তমান সরকারকে আমি এসবের তালিকা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আবরারের কী দোষ ছিল? সে ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। তাছাড়া ৪৭-এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোনো সমুদ্রবন্দর ছিল না বলেও সে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
এসব দেশবিরোধী চুক্তি নিয়ে দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছি। এটাই তার দোষ ছিল। এ ঘটনার ৬ বছর পরও তার হত্যার বিচার পায়নি। আমি অতি তাড়াতাড়ি তার হত্যার বিচার দেখতে চাই।
সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামায়াতের আজকের সমাবেশ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।
এআর







































