• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজেমার অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের বিদায়


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ১০, ২০২২, ০৯:৪৮ এএম
বেনজেমার অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক,  মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের বিদায়

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা : প্রথম লেগে তাঁর শেষ মুহূর্তের গোলে জিতেছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। দ্বিতীয় লেগেও সেই কিলিয়ান এমবাপ্পে গোলে লিড। দুই লেগে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া পিএসজির অপেক্ষাটা ছিল স্রেফ আধ ঘণ্টার। কিন্তু ১৮ মিনিটের এক ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেল। ঝড়ের নাম করিম বেনজেমা। 

বুধবার (৯ মার্চ) রাতে তার অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিকের ওপর দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তুলে নিল রূপকথার এক জয়।

তাতেই হলো পিএসজির স্বপ্নের সমাধী। দুই লেগ মিলে আড়াই ঘণ্টা এগিয়ে থেকেও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারলেন না মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা। ফরাসি অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের জাদুতে ম্লান হয়ে গেলেন এই ত্রয়ী। বুধবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগটা রিয়াল মাদ্রিদ জিতল ৩-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আটের টিকিট কাটল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলটি।

প্যারিসে প্রথম লেগে জয় পাওয়া পিএসজি ফিরতি লেগে এগিয়ে যায় বিরতির কয়েক মিনিট আগে। দুটো গোলই এমবাপ্পের। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোয়ার্টার ফাইনালের সুবাস পাচ্ছিল পিএসজি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল যেভাবে প্রত্যাবর্তন করল তা হার মানাবে হলিউডের কোনো থ্রিলার মুভিকেও। রিয়ালের এমন ফেরার রূপকার বেনজেমা। প্রায় চার মৌসুম ধরেই যিনি ঘানি টানছেন ক্লাবের।

গতকাল রাতে দ্বিতীয় লেগে মেসি-নেইমার দুজনই থাকলেন নিজের ছায়া হয়ে। বার্সেলোনা ছাড়ার পর এই প্রথম দুজন একসঙ্গে ফিরেছেন স্পেনে। তাদের প্রত্যাবর্তন মাটি হয়ে হয়ে গেল বেনজেমার অতিমানবীয় হ্যাটট্রিকে। ৬১ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ফরাসি তারকা। ৭৬ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলে লিড। সার্বিক হিসেবে ২-২ সমতা। এই গোলের রেশ থাততেই বেনজেমার তৃতীয় গোল!

তাতেই প্রবল উত্তেজনায় ফেটে পড়ল পুরো মাদ্রিদ। তাদের উচ্ছ্বাস দেখে যে কারোর মনে হতে পারে রিয়াল বুঝি কোনো শিরোপা জিতে ফেলেছে। না, চেনা মঞ্চে পরিচিত দর্শকদের সামনে কোনো ট্রফি জিতেনি রিয়াল। কিন্তু দলটির খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের উচ্ছ্বাস হার মানিয়েছে কোনো চ্যাম্পিয়ন দলকে। আসলে অলৌকিক প্রত্যাবর্তনের স্বাদটা শিরোপা জয়ের আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

রিয়ালের এই ফেরাটাও তাই বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পিএসজির অবশ্য এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছিল। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতেও শেষ আটে উঠতে পারেনি। ফিরতি লেগে বার্সার ৬-১ গোলের অবিশ্বাস্য জয় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয় পিএসজিকে। ওই ম্যাচে মেসি-নেইমার ছিলেন পিএসজির প্রতিপক্ষ। এবার এই দুই তারকা দেখে ফেললেন মুদ্রার উল্টো পিঠ।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পে আরেকটা গোল করেছিলেন। কিন্তু তার গোলটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। অন্যদিকে রিয়াল একের পর এক আক্রমণ করলেও ফিনিশিং হচ্ছিল না। অবশেষে পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুম্মার মারাত্মক ভুল 'গিট' খুলে দেয় রিয়ালের। ইতালিয়ান গোলরক্ষকের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তার পাস থেকে সহজে গোল করেন বেনজেমা।

এই গোল পিএসজির পতনের সূত্রপাত। আরো একবার শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে গেল প্যারিসিয়ানরা। তাতে করে ইউরোপের রুপালি মুকুটটা অধরা হয়েই থাকল পিএসজি কাছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!