ঢাকা: সের্হিও বুসকেটস ও জর্দি আলবা ঘরের মাঠে প্রিয় ক্লাবের জার্সিতে খেললেন নিজেদের শেষ ম্যাচ। সংস্কারের জন্য কিছু দিনের বন্ধ হতে যাওয়া কাম্প নউয়ে যা হয়ে থাকল বার্সেলোনার শেষ ম্যাচ।
লা লিগায় রোববার ১০ জনের মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে শাভি এর্নান্দেসের দল। প্রথমার্ধে আনসু ফাতি জোড়া গোল করার পর দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পান গাভি।
ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নেমে আসেন বার্সার সব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ক্রাচে ভর করে নেমে আসেন এ ম্যাচেই ভয়ংকর ট্যাকলের শিকার হওয়া আলেহান্দ্রো বালদে।
ক্যাম্প ন্যুর জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় কাতালান ক্লাবটির স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স। দুই ক্লাব কিংবদন্তির নানা কারিকুরি। এরপর এ মৌসুমে বার্সার জেতা দুটি ট্রফি (লা লিগা ও কোপা দেল রে) নিয়ে আসেন বুসকেটস ও আলবা। সে সময় দুজনকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পরে তাদের শূন্যে ভাসিয়ে বিদায়ী মুহূর্তও আনন্দঘন করে তোলেন সতীর্থেরা।
বিদায়ী বক্তব্যে বুসকেটস বলেছেন, ‘ছোটবেলাতেই স্বপ্ন দেখেছি, একদিন আমি এই স্টেডিয়ামে (ক্যাম্প ন্যু) খেলব। আজ (কাল) এখানে দাঁড়ি পড়ে গেল। এখন আমি চলে যাচ্ছি। তবে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সে পূরণ করেই যাচ্ছি। যেখানেই গিয়েছি, মনে হয়েছে এটা বিশ্বসেরা ক্লাব। এই গৌরব পৃথিবীর কেউ আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’
যারা দীর্ঘ সময় ধরে পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ বুসকেটস, ‘এই দীর্ঘ ভ্রমণে যেসব খেলোয়াড়, কোচ, কর্মীরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আর আপনাদের (ভক্তদের উদ্দেশে) তো অবশ্যই। আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ। মাঠে সেরাটা দেওয়ার জন্য আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি। আমি সত্যিই খুব খুশি।’
আলবা বলেছেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। এই জার্সি পরে এতগুলো বছর ডিফেন্ডারের দায়িত্ব পালন করতে পারা সম্মানের। আজ আমি তাদের স্মরণ করছি, যারা আমার ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রেখেছেন।’
বার্সার হয়ে ১৭টি ট্রফি জিতলেও বিদায়ের রাতটাকেই সেরা মনে করেন আলবা, ‘এত মানুষের ভালোবাসা পাব, ভাবিনি। সত্যি বলছি, এটাই আমার জীবনের সেরা দিন। আমি বিশেষ একজনের নাম বলতে চাই, যিনি ২০১২ সালে আমাকে এখানে এনেছিলেন। তিনি তিতো ভিলানোভা (বার্সার প্রয়াত কোচ)।’
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :