• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে পাকিস্তানের হতাশা


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে পাকিস্তানের হতাশা

ঢাকা: পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টটা ৩৬০ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয় দলটি। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়েই পরে কাটাছেঁড়া হয়েছে বেশি। 

শাহিন আফ্রিদিদের গতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন দলটির সাবেক গতি তারকা ওয়াকার ইউনুস। পরে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কও কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানি পেসারদের গতি কমে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।

আজ শুরু হওয়া মেলবোর্ন টেস্টে সেই পাকিস্তানি বোলাররাই দারুণ বোলিং করলেন। আকাশ মেঘলা দেখেই টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানি পেসাররা হতাশ করেননি অধিনায়ককে। শাহিন আফ্রিদি, মির হামজা, হাসান আলী ও আমের জামালরা কন্ডিশনের সুবিধা কাছে লাগিয়ে যথেষ্টই এদিক-ওদিক করিয়েছেন বল।

তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনটাতে ভালো বোলিংয়ের যথাযথ পুরস্কার পাননি পাকিস্তানি বোলাররা। প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৬৬ ওভার। পাকিস্তানি বোলাররা নিতে পেরেছেন ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে ১৮৭ রান তুলে।  

চা-বিরতির আগেই পূর্বাভাস মেনে বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেওয়ার আগেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। বিদায়ী সিরিজ খেলা ডেভিড ওয়ার্নার ফেরেন প্রথম সেশনে। তার আউটেই শেষ হয় প্রথম সেশনের খেলা। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে এই বাঁহাতি যখন ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ার রান ৯০।

লাঞ্চ সেরে আসার ৬ ওভারের মধ্যেই বিদায় নেন ওয়ার্নারের সঙ্গী উসমান খাজাও। দলকে ১০৮ রানে রেখে বিদায় নেন জুতায় দুই মেয়ের নাম লিখে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলীয় ওপেনার।

পাকিস্তানি বোলাররা আজ ভালোই বল করেছেন। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে তার পুরস্কারও পেয়েছেন তারা। ওয়ার্নারকে অবশ্য আরও আগেই ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ২ রানে কপালগুণেই বেঁচে যান ওয়ার্নার। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করা আফ্রিদির লেংথ বলটি ওয়ার্নারের ব্যাটে চুমো খেয়ে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো আবদুল্লাহ শফিকের হাতে। 

সহজ ক্যাচটিতে কী করে যেন ফেলে দেন শফিক। পার্থে প্রথম টেস্টে ১৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা ওয়ার্নার ১৭ রানে দাঁড়িয়েও আরেকবার সুযোগ দিয়েছিলেন। এবার বলটা তার ব্যাটের কানা ছুঁলেও স্লিপ ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে চলে যায়।

গত কয়েক বছরে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়ার মানেই ছিল অস্ট্রেলীয় ওপেনারের তিন অঙ্কের দেখা পেয়ে যাওয়া। আজ অবশ্য সেটি হয়নি। তৃতীয়বার ক্যাচ তুলে আর বাঁচতে পারেননি ওয়ার্নার। অনিয়মিত স্পিনার আগা সালমানের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তোলেন, এবার বাবর আজমের হাতে জমে যায় বলটি। ফেরার আগে ৮৩ বলে ৩৮ রান করেন ওয়ার্নার। এই রান করার পথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টিভ ওয়াহকে ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান ওয়ার্নার।

৯০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ওয়ার্নারের সঙ্গী খাজাও আউট স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। এই টেস্টেই পাকিস্তান দলে ফেরা পেসার হাসান আলী পেয়েছেন উইকেটটি। ১০১ বলে ৪২ রান করা খাজা মেরেছেন ৫টি চার। এর প্রথমটি মেরেই রানের খাতা খুলেছেন ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

খাজার বিদায়ের পর বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেওয়ার আগে দলের রানটাকে ১১৪ পর্যন্ত নিয়ে যান মারনাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথ। তৃতীয় সেশনের আগে আর খেলা শুরু করা যায়নি। খেলা আবার শুরু হওয়ার পর প্রথম একটা ঘণ্টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন মারনাস লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথ। পানি পান বিরতির পর স্মিথকে ফেরান আমের জামিল। 

এআর

Wordbridge School
Link copied!