ঢাকা : অলিম্পিকে বাংলাদেশ নিয়মিত খেলছে ১৯৮৪ সাল থেকে। কিন্তু ৪০ বছরেও আসেনি কোনো পদক। সেই তুলনায় এশিয়ান গেমসে ৪৬ বছরে ১৪ পদক মন্দের ভালো লাল সবুজদের জন্য। টুর্নামেন্টে ২০১০ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে ক্রিকেট ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশ, প্রতিযোগিতায় এটাই একমাত্র সোনা জয়। বৈশ্বিক আসরে সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে অনুন্নত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবকেই দায়ী করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের ঘোষণা দিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সেই অভাব ঘোচাতে তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। যা হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ক্রীড়া ইনস্টিটিউট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্রীড়াবিদদের সফলতা অর্জন, শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের অর্জনের লক্ষ্যের ভাবনা থেকেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন, দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চ ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর কোলাবরেশনের মাধ্যমে বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে, ইউএসএ, চীন ও ফ্রান্সের স্পোর্টসের মেলবন্ধনে যে ফলাফল ও সাফল্য তারা অর্জন করেছে তা দেশের মাটিতে নিশ্চিত করাই হবে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের অন্যতম লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে, খেলোয়াড় ও অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্স উন্নয়নের লক্ষ্যে স্পোর্টস বায়োমেকানিকস ইউনিট, স্পোর্টস সাইকোলজি ইউনিট, পারফরম্যান্স নিউট্রেশন ইউনিট, স্পোর্টস লিডারশিপ ইউনিট, পারফরম্যান্স ইনোভেশন ইউনিট। হাই ইন্টেনসিটি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্র ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও টিম পারফরম্যান্স ও ডাটা ইউনিট, মেডিসিন ইউনিট, হাই পাররম্যান্স কেয়ার ইউনিট। অপারেশন সার্ভিসেসের আওতায় থাকবে ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং ইউনিট, ফিজিও থেরাপি ইউনিট, টিস্যু থেরাপি ইউনিট। পাবলিক- প্রাইভেট নেটওয়ার্ক স্থাপন। বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হবে স্পোর্টস বায়োমেকানিকস, স্পোর্টস মেডিসিন, ফিজিওলজি, স্পোর্টোস সায়েন্স আরও বিশেষায়িত কার্যক্রম।
আসিফ মাহমুদ জানান, এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশ ও দেশের বাইরের বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা যোগ করেন, ‘যারা খেলাধুলায় আসেন বিকেএসপির মাধ্যমে। সেখানে ইন্টারমিডিয়েট সেটআপ আছে। কিন্তু পিক পারফরম্যান্সের বেলায় দুর্বলতা আছে। সেক্ষেত্রে স্পেফেসিক প্রতিষ্ঠান নাই। তার জন্য এটার জন্য স্পোর্টস ইন্সটিটিউট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’
এমটিআই







































