• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ান একাদশে ছয় বছরের আর্চি!


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ৫, ২০১৮, ০৮:০৮ পিএম
অস্ট্রেলিয়ান একাদশে ছয় বছরের আর্চি!

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জন্মের পর থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত আর্চি সেলার। মাত্র তিন মাস বয়স থেকে ইতিমধ্যেই তিন তিনবার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে তার। তাতেও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি। আরও একবার হতে পারে অস্ত্রোপচার। তাতে আর্চির প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও থাকতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিত্সকরা। আশা-আশঙ্কার দোলাচলে থেমে নেই আর্চির ক্রিকেট স্বপ্ন।

ছয় বছরের ছোট্ট একটা বাচ্চা, ঠিক করে ফেলেছে নতুন ছন্দে লিখব জীবন। বলা ভালো শিশু মনে আপন ছন্দেই লিখতে চায় জীবনের ইচ্ছেপূরণের গল্প! ব্যাগি গ্রিনে বাইশ গজে গল্প লিখতে চায় আর্চি সেলার। ভারতের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বিরাটের উইকেট চাই আর্চির।  

বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না, অল্পেতেই হাঁপিয়ে ওঠে সে। তাই নিজের মতোই লেগস্পিনার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর বছর ছয়েকের ক্রিকেট পাগল ছেলেটা। বোলিং অ্যাকশন একেবারে যেন শেন ওয়ার্নের মতো। তবে আর্চির পছন্দের ক্রিকেটার নাথান লিঁও। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া দলে যোগ দিতে চলেছে আর্চি। তার আগে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে লেগ স্পিনার আর্চি।  

এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে আর্চির কথা জানতে পারে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তারপর আর্চির ইচ্ছেপূরণের জন্য অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ভিডিও কল... অস্ট্রেলিয়া দল যখন আরব আমিরশাহিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে। সেই সময় আর্চির বাবার ফোনে ভিডিও কল করেন অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

বাবা মায়ের মাঝে বসে থাকা আর্চিকে ল্যাঙ্গার বলেন, বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে নেওয়া হচ্ছে তাকে। শুধু তাই নয়, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া দলের অনুশীলনে থাকার সুযোগ পাবে। ল্যাঙ্গারের এই কথা শুনেই আর্চি বলেছিল, "বিরাট কোহলিকে আউট করব আমি।"

ছোট্ট ছেলেটার মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে হাজির সেই ছোট্ট আর্চি। বাকিদের মতোই ওয়ার্মআপ থেকে ফিজিকাল ট্রেনিং এমনকী নেটে বোলিং করা কিচ্ছুটি বাদ দেয়নি সে। অনুশীলনের মাঝেই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট জার্সিও পেয়ে গিয়েছে সে।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেকও হতে পারে আর্চির। তার জীবনের মতোই সামনে আরও একটা কঠিন টেস্ট সিরিজ। তবু চোখে মুখে তৃপ্তির ছাপ- সে এক অসীম তৃপ্তি আর্চির। এক অনন্য অনুভূতি। জীবনের সব যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার অন্তহীন অনুরণন তখন অ্যাডিলেডের আনাচে কানাচে। আহ্লাদে আটখানা বছর ছয়েকের ছটফটে ছেলেটার ইচ্ছেপূরণের ছোট ছোট মূহূর্তের কোলাজ তখন অ্যাডিলেডে যেন 'আর্চিস গ্যালারি'।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!