• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আফসোস! জেতা ম্যাচটা এভাবে ড্র করল বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ১০:১১ পিএম
আফসোস! জেতা ম্যাচটা এভাবে ড্র করল বাংলাদেশ

ঢাকা: গোটা বাংলাদেশই আফসোস করছে। এভাবে জেতা ম্যাচ কেউ হারে! বাংলাদেশ যে সল্টলেকে জেতা ম্যাচটা ফেলে দিয়ে এল! প্রথমার্থে সাদ উদ্দিনের গোলে এগিয়ে যাওয়ার সেটা জামাল ভুঁইয়ারা ধরে রেখেছিলেন ৮৮ মিনিট অবধি। কিন্তু ৮৯ মিনিটে গিয়ে গোল খেয়ে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। তা না হলে এই ম্যাচেই জয়ই বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিল। ভারত কোনওমতে ড্র করে মান বাঁচিয়েছে। তারপরও বাংলাদেশের ফুটবল যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা ভারত ম্যাচে আরেকবার প্রমাণ হলো। 

জেমি ডে কোচ হওয়ার পর থেকে আবারও লড়াকু বাংলাদেশকে দেখা যাচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরু থেকেই জামাল ভূঁইয়াদের লড়াকু চেহারায়ই দেখা গেল। ডিফেন্ডাররা দারুণভাবে গোলমুখ আগলে রেখেছেন। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও বেশ কয়েকটি সেভ করেন। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে তো ভারতের ডানদিক থেকে নেয়া শট এক হাতে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন রানা, যেটি চোখের পলকে গোল হয়ে যেতে পারতো। র্যাং কিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারত দাপট দেখিয়েই খেলছিল। বাংলাদেশও সুযোগ তৈরি করেছে। সেই সুযোগেরই একটি কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ৪১ মিনিটে সল্টলেক স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশ।

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে পেয়ে মাথা ছুঁইয়ে দেন সাদ উদ্দিন। ভারতীয় গোলরক্ষক সেটি বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে যায় জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ্ব শেষ করেছে জেমি ডে’র শিষ্যরা।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও সমান তালে লড়াই চালিয়ে যায় দুদল। বাংলাদেশ যেমন সুযোগ মিস করেছে। একইভাবে ভারতও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছে। তবে ৮৯ মিনিটের মাথায় কর্ণার কিক থেকে পাওয়া সুযোগটা নষ্ট করলেন না আদিল খান।তাঁর মাথা ছুঁয়ে বল ঢুকে গেল বাংলাদেশের জালে। ১-১ এ সমতায় ম্যাচ। শেষ অবধি ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। অথচ আর ছয়টা মিনিট কাটিয়ে দিতে পারলেই বাংলাদেশ ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত। একেবারে শেষে গিয়ে গোল হজম করে সেটা আর হলো কোথায়?

বাংলাদেশ একাদশ: 

গোলরক্ষক : আশরাফুল ইসলাম রানা, ডিফেন্ডার : রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, রিয়াদুল হাসান, রায়হান হাসান, মিডফিল্ডার : জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, ফরোয়ার্ড : সাদ উদ্দিন ও নাবিব নেওয়াজ জীবন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!