• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও একটি স্বর্ণের আশায় সিঙ্গাপুর গেলেন হাসিব


ক্রীড়া প্রতিবেদক আগস্ট ২৪, ২০১৭, ০৯:৩৬ পিএম
আরও একটি স্বর্ণের আশায় সিঙ্গাপুর গেলেন হাসিব

ঢাকা: একটি দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সহজ মাধ্যম হলো খেলাধুলা। আর একজন ক্রীড়াবীদ আজীবন সেই স্বপ্নই হৃদয়ে লালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘নাব্বা ডব্লিউএফএফ এশিয়া মাসল ওয়ার’ বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিয়ে ছিলেন হাসিব হলি। বিদেশে আরও একবার দেশের পতাকা ওড়াতে যাচ্ছেন লাল সবুজের এই বডিবিল্ডার।

নাব্বা সিঙ্গাপুরের আয়োজনে আগামী ২৭ আগস্ট দেশটির কাল্যাং থিয়েটারে হতে যাচ্ছে নাব্বা ডব্লিউএফএফ সিঙ্গাপুর গ্রান্ড প্রিক্স-২০১৭। প্রতিযোগিতার সুপার বডি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে হাসিব মো. হলি। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টায় টাইগার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরে উদ্দেশে দেশ ছাড়ছেন সাবেক মি: বাংলাদেশ।

নাব্বা ডব্লিউএফএফ সিঙ্গাপুর গ্রান্ড প্রিক্সে অংশ নিতে হাসিব হলিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এসি ওয়াল্ড ও শাহ স্পোর্টস। সিঙ্গাপুরে যাওয় আসার খরচ দেবে এসি ওয়াল্ড-এর ব্যান্ড ডায়কিন। সেখানে হোটেলে থাকা খাওয়ার খরচ বহন করবে শাহ স্পোর্টস।

প্রতিযোগিতায় সুপার বডি ক্যাটাগরি অংশ নিতে হাসিবের ওজন দরকার ৮০-৮৫ কেজির মধ্যে। আর উচ্চতা লাগবে ১৭২ সেন্টি মিটার। সেই লক্ষে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি। এরইমধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন হাসিব। তাই স্বর্ণ জিতেই দেশে ফিরতে চান এই বডিবিল্ডার। বলেন, আমার প্রস্তুতি ভাল হয়েছে, আশাকরি ভাল কিছু করতে পারব। তবে আমার প্রতিপক্ষ কারা, এখনও জানতে পারিনি। তাদের সম্পর্কে জানতে পারলে সুবিধা হবে। তাই একদিন আগেই সেখানে যাচ্ছি।

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে বিডি বিল্ডিংয়ে প্রথম স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন হাসিব। এ বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত নাব্বা ডব্লিউএফএফ এশিয়ান মাসল ওয়ার-১৭ তে বাংলাদেশ থেকে প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এশিয়ার ১২টি দেশের বডিবিল্ডারদের হারিয়ে জুনিয়র ওপেন ওয়েট ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ জিতে নেন।

মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকেই বডিবিল্ডিং শুরু করেন হাসিব। তারপর ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব পান।

পরবর্তীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখানে গিয়ে তিনবার ওয়ার্ল্ড বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়ন ড. সিট্রি কাছে তিন মাস প্রশিক্ষণ নেন। বাংলাদেশে একমাত্র স্বীকৃত জিম প্রশিক্ষক হিসেবে একটি বডিবিল্ডিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!