• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে শীষ্য নিশামের ছক্কা দেখেই মারা গেলেন কোচ


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৪:৩০ পিএম
ফাইনালে শীষ্য নিশামের ছক্কা দেখেই মারা গেলেন কোচ

ঢাকা:  বিশ্বকাপের ফাইনাল চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে টাই হয়। পরে সুপার ওভারও টাই হয়। ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার নিরিখে। এমন হারে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। যারা খেলেছে তাদের তো আরও বেশি। ফাইনাল শেষে অলরাউন্ডার জিমি নিশামের টুইট বলছে তার হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি লিখেছেন,‘ বাচ্চারা, খেলাধুলাকে পেশা বানিয়ো না। কেক-বিস্কুট বানাও কিংবা অন্য কিছু করো। ৬০ বছর বয়সে মোটাতাজা হয়ে মনে সুখ নিয়ে মরো, তাও ভালো।’

কতটা কষ্ট পেলে একজন পেশাদার খেলোয়াড় এমন কথা বলতে পারেন। নিশামের কষ্ট আরও দ্বিগুন করেছেন তার কোচ।ফাইনালের চরম উত্তেজনাপূর্ণ সুপার ওভার দেখতে গিয়ে যে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁর ছোটবেলার কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন।

ব্যাপারটা নিশাম নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ডেভ গর্ডন, আমার হাইস্কুল শিক্ষক, আমার কোচ ও বন্ধু। খেলার প্রতি তোমার ভালোবাসাটা সংক্রামক ছিল। মূলত তাদের কাছে, যাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তোমার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার ও তোমার অধীনে খেলার। এমন একটা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তুমি ছিলে, এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি, তোমাকে গর্বিত করতে পেরেছি আমি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে থেমে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইংল্যান্ডও থামে ২৪১ রানেই। প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে গড়ায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এবার প্রথমে ব্যাটিং করে ইংলিশরা বেন স্টোকস আর জস বাটলারের ব্যাটে তোলে ১৫। জবাব দিতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম। নিজেদের সুপার ওভারের দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন নিশাম। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ছক্কার পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন গর্ডন।

তাঁর মেয়ে লিওনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সুপার ওভার চলার সময় একজন নার্স আসে বাবাকে দেখার জন্য। সে তখনই বলে, বাবার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার মনে হয়, নিশাম যখন ছক্কাটা মারল, বাবা সেটা দেখেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’ নিশাম ছাড়াও লকি ফার্গুসনের কোচ ছিলেন গর্ডন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/

 

 

Wordbridge School
Link copied!