• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
দ্যা এজ সায়মন টাফেল

ফাইনালে ৬ রানের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
ফাইনালে ৬ রানের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল

ঢাকা:  ফাইনাল ম্যাচে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের পর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অমার্জনীয় ভুল করে বসলেন তিনি। শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল ইংলিশদের। প্রথম দুই বল ডট হওয়ার পর তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বেন স্টোকস। চতুর্থ বলটি হয়ে থাকল ক্রিকেট বিশ্বকাপের আলোচিত ঘটনা। 

বোল্টের চতুর্থ বল ছিল ফুলটস। স্টোকস এই বার মিড উইকেটে মেরে দুই রানের জন্য ছোটেন। গাপটিল বল ছোড়েন উইকেট লক্ষ্য করে। বল উইকেটে নয়, লাগে ডাইভ দেওয়া বেন স্টোকসের ব্যাটে। শুধু তাই নয় সেই বল গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। দ্বিধায় পড়েন আম্পায়াররা। কিছু সময় পর ছয় রানের সিদ্ধান্ত জানান কুমার ধর্মসেনা।

অথচ, আইসিসির ১৯ দশমিক আট নম্বর নিয়ম বলছে, ওভার থ্রোয়ে যদি চার হয়, তবে তার আগে সেই রানই যোগ হবে, যে রান ব্যাটসম্যানরা ফিল্ডার বল ছোড়ার আগে শেষ করেছেন। অর্থাৎ গাপটিল বল ছোড়ার আগে যে রানটি স্টোকস ও রশিদ নিয়েছেন, সেই রানই যোগ হবে। প্রথম রান তারা শেষ করলেও দ্বিতীয় রান তারা নেওয়া শুরু করলেও ক্রস করেননি।

এদিকে,  এই বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলোর। সেমি-ফাইনালে জেসন রয়কে ভুলভাবে আউট দিলেও সেই কুমার ধর্মসেনাকে আবারও দায়িত্ব দেয়া হয় ফাইনাল ম্যাচে। এই ম্যাচে ৫০-৫০ একশ ওভারের খেলা শেষে ম্যাচ টাই হলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। অবশেষে সুপার ওভারে নিষ্পত্তির মাধ্যমে শিরোপা উঠে ইংলিশদের হাতে।

অথচ এই ম্যাচেও নাকি ভুল সিদ্ধান্তের শিকার নিউজিল্যান্ড। বলছেন সায়মন টাফেল। পাঁচবার বর্ষসেরা আম্পায়ার হয়েছেন সায়মন টাফেল। তার কথা তো আর ফেলে দেয়া যায় না। 

সেদিন ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বল চলে যায় লেগ প্রান্তে। সেখান থেকে মার্টিন গাপটিলের থ্রোতে বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। তাতে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় ৬ রান। এখানেই আপত্তি সায়মন টাফেলের। সাবেক এই অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার যুক্তি দেখিয়েছেন, ওটা ৬ রান হবে না ৫ রান হবে।

টাফেলের যুক্তি মতে, গাপটিলের থ্রোয়ের সময় স্টোকস ও রশিদ এক রান নিয়ে আরেক রান নেয়ার সময় একে অপরকে অতিক্রম করতে পারেননি। তাই এখানে ছয় রান নয়, পাঁচ রান হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে পঞ্চম বলে স্টোকসের থাকার কথা নন-স্ট্রাইক প্রান্তে।

দ্যা এজ এবং সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে টাফেল আরও বলেন, এটা নিশ্চিতভাবে ভুল। ব্যাটে লেগে বল বাউন্ডারি ছুঁয়ে ফেলার পর স্টোকস তার দুই হাত তুলে জানিয়ে দেন, তিনি যে ইচ্ছাকৃত ভাবে সেটি করেননি। এরপর আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ৬ রানের সংকেত দিয়ে দেন।

এক বলে ছয় রান চলে আসায় শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডের লাগে ৩ রান। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় রান আউট হন আদিল রশিদ। শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন বেন স্টোকস। এই বলেও দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মার্ক উড।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!