• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রক্তাক্ত শ্রীলঙ্কা: দাদি আর মাকে উদ্ধারের বর্ণনা দিলেন শানাকা


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম
রক্তাক্ত শ্রীলঙ্কা: দাদি আর মাকে উদ্ধারের বর্ণনা দিলেন শানাকা

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় তিনশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ভাগ্যের জোরে এই হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার তিনটি টেস্ট ও ১৯টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। বিপিএলেও খেলেছেন।

নেগাম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিন চার্চ রোববার সকালে (২১ এপ্রিল) বোমা বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে। এই চার্চে পরিবারের সঙ্গে দাসুন শানাকারও থাকার কথা ছিল। সেই দুঃস্মৃতি প্রসঙ্গে শানাকা সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন,‘নেগাম্বো আমার নিজ শহর। সেদিন সকালে মা ও দাদির সঙ্গে আমারও চার্চে যাওয়ার কথা। কিন্তু আগের দিন সন্ধ্যায় ১৭০ কিলোমিটার দূরের অনুরাধাপুরা থেকে বাসায় ফেরার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই সকালে চার্চে আর যাইনি। মা ও দাদি সকাল সকাল চার্চে যায়। আমি বাসায় ছিলাম। হঠাৎ করে একটা জোরে বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি লোকে বলাবলি করছে চার্চে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। আমার চোখের সামনে তখন মা ও দাদির চেহারা ভেসে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে আমি চার্চের দিকে ছুটি। সেখানে পৌঁছে যা দেখি! উফ সেই দৃশ্য আমি কোনদিনই ভুলবো না! ও মাই গড! সেকি ভয়াবহতা!!

এর পর শানকা বলে যান, ‘গোটা চার্চই যেন ভেঙ্গে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপ! লোকজন ভেতর থেকে প্রাণহীন মানুষের দেহ টেনে বের করে আনছে। আমি প্রথমেই মাকে খুঁজলাম। ভাগ্যক্রমে পেয়েও গেলাম। তাকে কোলে নিয়েই আমি হাসপাতালে ছুটলাম। আমার বাকি বন্ধুরা চার্চের বাকি আহতদের উদ্ধারের জন্য সেখানে থেকে গেল। আমার মা চার্চের জানালার পাশে বসে থাকায় বিস্ফোরণের ধাক্কা বেশি লাগেনি তার। জানালার সেই পাল্লা তাকে রক্ষা করে। কিন্তু তার আশেপাশে অনেকেই বিস্ফোরণে মারা যায়। মাকে হাসপাতালে রেখে আমি আবার চার্চে ফিরি। দাদিকে খুঁজি।

শুনলাম দাদি নাকি ভেতরের দিকে বসেছিল। মানুষের কান্না, চিৎকার, অসহায়ত্ব দেখে কষ্টে আমার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছিল। চার্চের একদম ভেতরের দিকে ঢুকেই দাদিকেও পেয়ে গেলাম। এবং হ্যাঁ, জীবিত! চারধারের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবত কাউকে পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্যই বটে! যেভাবে পুরো চার্চ ভেঙ্গে পড়েছিল সেখানে জীবত কাউকে খুঁজে পাওয়াটা বিস্ময়করই ছিল। আমার দাদি মুলত বেঁচে গেছে আশপাশের ভিড়ের কারণে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় মানুষের নিস্প্রাণ শরীরগুলো দাদির ওপর পড়ায় বিস্ফোরণটা তাকে সরাসরি আঘাত করেনি। দাদির মাথায় অবশ্য একটা বিস্ফোরণের টুকরো এসে পড়ে। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে যাই।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!