• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লিটন-মিরাজের পর সৌম্য, বাকিরা কী করলেন?


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮, ১০:০২ পিএম
লিটন-মিরাজের পর সৌম্য, বাকিরা কী করলেন?

ঢাকা: ফাইনাল মঞ্চে সেঞ্চুরি সবসময়ই বিশেষ কিছু। আবার সেটি যদি হয় ক্যারিয়ারের প্রথম, তাহলে তো আনন্দটা দ্বিগুন হওয়ার কথা। লিটন এশিয়া কাপের ফাইনালে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। কিন্তু উদযাপনটা বাঁধনহারা করতে পারলেন না। করবেন কি করে কিছুক্ষণ আগেই যে রবিন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউটে কাটা পড়ে ফিরেছেন সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন। অবশ্য সেখানে লিটন বা মিঠুনের কারোরই দোষ নেই। লিটনের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিল্ডিং করে দ্রুতই ছুরে দিয়েছেন নন স্ট্রাকইপ্রান্তে।

মিঠুনেরটা না হয় মানা গেল। বাকিরা যে উইকেট একরকম ছুরে দিয়ে আসলেন। আর এ কারণেই শুরুতে যে চাপ ভারতের ওপর ছিল সেই চাপ চাহাল-কুলদীপরা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিয়েছে দ্রুত ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। ৩৩ বলে ফিফটি করা এই ওপেনার জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৭ বলে। শেষ অবধি তাঁকে তিনি থেমেছেন লিটন থেমেছেন কুলদীপের বলে ধোনির হাতে স্ট্যাম্পড হয়ে। তার আগে ১১৭ বলে ১২ চার আর দুই ছক্কায় ১২১ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। অবশ্য তাঁর আউটের আগে থেকেই ব্যাটসম্যানরা যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করেন।

ওপেনিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজকে নামিয়ে চমকে দেয় বাংলাদেশ। গোটা টুর্নামেন্টে ওপেনিং জুটি থিতু হতে পারেনি। সেখানে লিটন-মিরাজের জুটি রানটাকে নিয়ে গেছে ১২০ রান অবধি। ১২০ রানে মেহেদি হাসান মিরাজকে (৩২) আউট করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন কেদার যাদব। ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান। এরপর বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ব্যাটসম্যানদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ডুবিয়েছে।

আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও এলবিডব্লুয়ের শিকার হয়েছেন ইমরুল কায়েস (২) চাহালের বলে। কেদার যাদবের বলে মুশফিকুর রহীম (৫) নির্ভার মনে করে বড় শট খেলার খেসারত দিয়েছেন। মিঠুন তো জাদেজার দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের বলি হলেন। মাহমুদউল্লাহকেও (৪) টিকতে দিলেন না বুমরাহ। সৌম্য সরকার চেষ্টা করে গেলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। কিন্তু রান আউট হয়ে তিনি ফিরে যাওয়ায় স্কোরটা বড় হলো না। সৌম্য ৩৩ রান করেছেন ৪৫ বলে। লিটন-মিরাজ-সৌম্য বাদে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারল না। যেটা সাধারণ দর্শকদের মেনে নেওয়াটা কষ্টকরই বটে। বাংলাদেশ ৪৮.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পেরেছে ২২২ রান।

ভারতীয় বোলাররা এমন আহামরি বোলিং তো করেননি। জীবনে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে যে সাহস দেখালেন মিরাজ সেটি ফাইনালে বাংলাদেশের প্রাপ্তিই বলতে হবে। আর একজন ওপেনার হন্য হয়ে খুঁজছিল বাংলাদেশ। আপাতত সেটি পাওয়া গেছে। লিটন দাস। এই দু’জনের সঙ্গে সৌম্য খেললেন। বাকিরা কী করলেন ঠিক তারাই ভালো বলতে পারবেন। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার কুলদীপ। ২টি উইকেট নিয়েছেন কেদার যাদব।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!