• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে হতাশ মিরাজ, মাহমুদউল্লাহর মুখে হাসি


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম
সিলেটে হতাশ মিরাজ, মাহমুদউল্লাহর মুখে হাসি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে ঢাকায় চারটি ম্যাচ খেলে জয়ের স্বাদ পায়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। ঢাকা মাতিয়ে দেশের ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এখন সিলেটে। আর সিলেটের মাঠে নেমেই জয় খরা কাটল রুপসা পাড়ের দলটির। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে চলতি আসরে প্রথম জয় দেখল খুলনা।  

খুলনা টাইটান্সের দেয়া ১২৯ রানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের এক বল বাকি থাকতে ১০৩ রানে গুটিয়ে রাজশাহী কিংস। ফলে ২৫ রানের বহুল কাঙ্ক্ষিত জয় পায় মাহমুদউল্লাহর দল। চলতি আসরে এটি প্রথম জয় খুলনা টাইটান্সের।

তুলনামুলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার লরি ইভান্সকে সাজঘরে ফেরত পাঠান জুনায়েদ খান। পাকিস্তানি এই পেসারের বলে তাইজুলের তালুবন্দি হন তিনি। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে নেমে শুরু ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু পঞ্চম ওভারে সঙ্গী মুমিনুল হককে হারান মিরাজ।  

রাজশাহীর এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায়ে আগে ১১ বলে ৭ রান করেন মুমিনুল। এরপর জোড়া আঘাতে রাজশাহীকে চাপে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। হাত খুলে খেলতে থাকা মিরাজকে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন জাতীয় দলের এই স্পিনার। এক বল পরেই সৌম্য সরকারকেও বিদায় করেন তাইজুল।

 ব্র্যাথওয়েটের তালুবন্দি করে উইকেটকিপার জাকির হাসানকে সাজঘরে পাঠান মাহমুদউল্লাহ। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজশাহী। সেই চাপটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। ১৩ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বি রানআউট হন। ১৫ রান করে জুনায়েদ খানের বলে বিদায় নেন আরাফাত সানি। ফলে এক বল বাকি থাকতেই ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী কিংস।

৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান তাইজুল ইসলাম। ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন জুনায়েদ খান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২টি এবং ডেভিড উইস নেন ১টি  উইকেট।  

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মি। ব্যাট হাতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই হোঁচট খায় টাইটানস। ইসুরু উদানার শিকার হয়ে ফেরেন জহুরুল ইসলাম।

প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই মিরাজের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে বিদায় নেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তার একটু পর মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে ডেভিড মালান ফিরলে চাপে পড়ে খুলনা। এর মধ্যেই আরাফাত সানির বলে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর রানআউট হয়ে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন।

একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত খুলনার হাল ধরতে পারেননি ক্যারিবীয় কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। সানির বলেএলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টাইটান্স। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আরিফুল হক। তবে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিতে পারেননি ডেভিড উইজ। উদানার বলে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিনিশ হন তিনি। দলকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি আরিফুলও।

কিছুক্ষণ পর মোস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে লরি ইভানসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ২৭ বলে ১ চারে ২৬ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন আরিফুল। পরে বলেই তাইজুল ইসলামকে রানআউট করে ফেরান ফিজ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে স্কোর বোর্ডে ৯ উইকেটে ১২৮ রান তোলে খুলনা।

 রাজশাহীর শ্রীলঙ্কান বোলার ইসুরু উদানা, অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও আরাফাত সানি ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট ঝুলিতে তুলে নেন কাটার মোস্তাফিজুর রহমান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!