• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটের ১১ জন মিলে করলেন ৬৮


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম
সিলেটের ১১ জন মিলে করলেন ৬৮

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেট নাকি ব্যাটিং সহায়ক। এই তার নমুনা? নিজেদের ঘরের মাঠে সিলেট সিক্সার্সের ১১ জন মিলে স্কোর বোর্ডে শত রানও জমা করতে পারলেন না। শুধু অলক কাপালির ব্যাট থেকে আসল ৩৩ রান। আর চার ব্যাটসম্যান আউট হলেন শূন্য রানে। বাকি ছয় জন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না। ফলে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রানে থেমে গেল সিলেটের রানের চাকা। বল হাতে চমক দেখালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তরুণ অফস্পিনার মেহেদী হাসান।

সিলেটের পক্ষে একমাত্র অলক কাপালি ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন তিনি। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে -অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ৪, লিটন কুমার দাস ৬, আফিফ হোসেন ০, নিকোলাস পুরান ০, সাব্বির রহমান ৬, সোহেল তানভির ৫, তাসকিন আহমেদ ৪, নাবিল সামাদ চৌধুরি ০ ও আল-আমিন হোসেন ৫ রান করেন।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে ১৬তম ম্যাচে টস জিতে সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাটিংয়ে নেমেই বড়সড় ধাক্কা খায় স্বাগতিক দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর ৩টি উইকেট হারায়। বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই কারিশমা দেখান মেহেদী হাসান।

ওভারের দ্বিতীয় বলেই আন্দ্রে ফ্লেচারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান এই অফ স্পিনার। মাত্র এক বলের ব্যবধানে সিলেটের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে বিদায় করেন মেহেদী। পরের বলে আফিফ হোসেনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ফলে এক ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান।

এরপর নিজের প্রথম ওভারেই নিকোলাস পুরানের উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মাদ সাইফ উদ্দিন। ফলে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় সিলেট সিক্সার্স। সেই বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন ওপেনার লিটন দাস। লিয়াম ডসনের বলে ওহাব রিয়াজের তালুবন্দি হয়ে ফেরনে তিনি। এদিনও সুবিধা করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িক নিষদ্ধ সাব্বির রহমান। ডসনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। মেহেদী হাসানের চতুর্থ শিকার হন পাকিস্তানি সোহেল তানভির।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে যান জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া সিলেটের ক্রিকেটার অলক কাপালি। অষ্টম উইকেটে পেস বোলার তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন কাপালি। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের এক ওভারেই ফেরেন তাসকিন ও নাবিল সামাদ।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা পেস বোলার আল-আমীন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়া থেকে বাঁচান কাপালি। দশম উইকেটে তাদের ২১ রানের ‍জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট।

কুমিল্লার পক্ষে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ২.৫ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!