• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীকে খুন করে ‘লাশ নিয়ে যেতে’ শাশুড়িকে জামাইয়ের ফোন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৯, ২০১৯, ১০:৩১ পিএম
স্ত্রীকে খুন করে ‘লাশ নিয়ে যেতে’ শাশুড়িকে জামাইয়ের ফোন

ঢাকা: প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৪ মাস আগে শারমিনকে বিয়ে করে আমির। বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পরই শারমিনের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে সে। নানা সময় সে ফোন করে শারমিনের বাবা-মায়ের কাছে টাকা দাবি করতো। তারা মাঝে মধ্যে কিছু দিয়েছেও, তবে তা খুব বেশি নয়। সম্প্রতি সে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে শারমিনের বাবা তাকে ১ হাজার টাক দিয়ে বিদায় করে। ওই রাতে আবার সে শারমিনের মায়ের মোবাইলে ফোন করে টাকা দাবি করে।

টাকা দেওয়া হয়নি তাই পরের দিন আমির তার শাশুড়িকে ফোন দিয়ে জানায়, ‘আপনার মেয়েকে খুন করে খাটের নিচে রেখেছি, লাশ নিয়ে যান।’

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই-এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

এর আগে সোমবার (০৮ জুলাই) চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা মেট্রো।

চারমাস আগে শারমিন বেগমকে (২০) বিয়ে করেন আমির হোসেন (২৮)। বিয়ের আগে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে, শারমিন ছিলেন আমিরের তৃতীয় স্ত্রী। এ বিয়েতে দেনমোহর ছিল ২ লাখ টাকা। গোপন রাখা হয় আমিরের আগের বিয়ের তথ্য। বিয়ের মাস তিনেক পার হতে না হতেই শারমিনের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আমির। আর তা দিতে রাজি না হওয়ায় বটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বনজ কুমার বলেন, স্থানীয়রা শারমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, সে শারমিনকে বিয়ের আগে আরও ২টি বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের আগে শারমিনের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়নি। যৌতুকের টাকা না পেয়ে এবং একাধিক স্ত্রী থাকায় পারিবারিক কলহের জেরে সে শারমিনকে খুন করে। ২ জুলাই ভোরে শারমিনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সে।

শারমিনকে খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পিবিআই প্রধান।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!