• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ হলে ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৫:২৬ পিএম
৫০ হলে ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’

ঢাকা: দর্শক চাহিদায় দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এবার ছবিটি মুক্তি পেতে পারে প্রায় ৫০টি হলে। এর আগে মাত্র চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’। এমনটাই জানিয়েছেন এই ছবির পরিবেশক গাউসুল আলম শাওন। 

শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী নিয়ে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত ডকু-ড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’। মুক্তির পর পরই সাড়া ফেলে ছবিটি। সিনেমা অঙ্গনেতো বটেই এই ডকু-ড্রামায় মজেন এমপি, মন্ত্রী ও রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সিনেমা নির্মাতাসহ ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। যার কারণে ছবিটি সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও তুমুল আগ্রহের জন্ম দেয়। আর এসমস্ত কারণেই এবার সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন ‘হাসিনা’  সংশ্লিষ্টরা।

‘হাসিনা’ মুক্তির পরেই ছবিটি দেখতে উন্মুখ হয়ে আছেন সারা দেশের দর্শক। কিন্তু তারা কীভাবে দেখবেন হাসিনার গল্প? কারণ ছবিটিতো মাত্র চারটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। তাও আবার শুধু রাজধানীতে! তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলেন ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’-এর পরিবেশকের দায়িত্ব পালন করা ও বিজ্ঞাপন সংস্থা গ্রে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউসুল আলম শাওন।

প্রথম সপ্তাহে ছবিটি মুক্তি পায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও মধুমিতা সিনেমা হলে। ঢাকার বাইরে একমাত্র চট্টগ্রামের মিনিপ্লেক্সে চলছে ছবিটি। অথচ ‘হাসিনা’র জন্য সারা দেশ থেকে মানুষ সিনেমাটি দেখার আগ্রহ জানাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ‘বিগ অ্যারেঞ্জেমেন্ট’-এ ‘হাসিনা’ মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলেন গাউসুল আলম শাওন।

সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম যেহেতু ‘হাসিনা’ একটি ডকু-ড্রামা, এবং সিনেমা হলে এমন ধারার ছবি সাধারণত রিলিজই করা হয় না। তাই ছোট পরিসরে চারটি প্রেক্ষাগৃহে আমরা মুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু চারটি প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দিয়ে দারুণ সমস্যায় পড়লাম। মানুষ ছবিটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে চারটি প্রেক্ষাগৃহেই। আমরা মানুষকে টিকেট দিতে পারছি না। এদিকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকেও চাপ তৈরি হচ্ছে। সাধারণ দর্শকের মধ্যে প্রবল আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে এমপি, মন্ত্রীরা চাইছেন যে ছবিটি তাদের স্থানীয় শহরে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায়। আর এসব বিবেচনায় আমরা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঢাকার বাইরে বেশ কিছু শহরে ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করছি।

মুক্তির তিন দিনেই রেকর্ড করেছে হাসিনা, এমনটা জানিয়ে শাওন আরো বলেন, আমরা চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিয়েছিলাম ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’। মুক্তির তিন দিন হয়ে গেল, সোমবার ছবি মুক্তির চতুর্থ দিন চলছে। আজকে রাত পর্যন্ত এই চারটি প্রেক্ষাগৃহের কোথাও কোনো শোয়ের একটি টিকেটও নেই। সব অগ্রীম বিক্রি শেষ। সিনেপ্লেক্স-এর কথা বাদ দিলাম, মধুমিতায় ১৩০০ সিট অথচ এখানেও কোনো শোয়ের একটি টিকেটও নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে।

দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কী পরিমাণ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ‘হাসিনা’? এমন প্রশ্নে শাওন বলেন, ঢাকা কিংবা সিনেপ্লেক্সের বাইরে ছবিটির মুক্তি নিয়ে আমরা একটু শঙ্কিত। আমরা চাই না কোনো হল থেকে ছবিটি পাইরেসি হোক, এজন্য আমরা খুব সাবধানে এগুচ্ছি। আর এজন্য জাজের কর্ণধার আব্দুল আজিজ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনিও ছবিটির ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে ভীষণ আগ্রহী, তবে এখনো জাজের সাথে আমাদের চুক্তি সই হয়নি। সব ঠিক থাকলে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে সব ফাইনাল হয়ে যাবে। তারপর হয়তো দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে ‘হাসিনা’ মুক্তি দিবো।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয় ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’-এর ট্রেলার! দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ট্রেলারটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও রাজনীতিকরাও তাদের টুইটার, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন! সেদিন থেকেই চলচ্চিত্রটির জন্য দিন গুণছিলেন সবাই।

এদিকে ‘হাসিনা’ মুক্তির পর প্রশংসায় ভাসছে সোশাল মিডিয়া। এমন একটি কাজের প্রয়োজন ছিলো যা ঠিকঠাক করতে পেরেছেন নির্মাতা পিপলু, এমনটাই বলছেন সবাই।

পিপলু খানের পরিচালনায় ‘হাসিনা’ ডকু-ফিকশনের কাহিনী গড়ে উঠেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলো নিয়ে। যদিও নির্মাতা বলছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিক নয়, বরং এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গল্প এবং তার বোন শেখ রেহানার গল্প।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!