• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদের ছুটিতে

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল


কুয়াকাটা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৬, ০৫:৩১ পিএম
কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

ঈদ উপলক্ষে নানা স্তরের মানুষের ঢল নেমেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। সমুদ্রপাড়সহ প্রতিটি পর্যটন এলাকা এখন মুখরিত পর্যটকদের পদচারণায়। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ মাতিয়ে তুলছে পর্যটকদের। দূর দূরান্তের পর্যটকের সংখ্যাই সব থেকে বেশি। ঈদ আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলতে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এসেছেন পর্যটকরা।

এ বছর ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাতেও মিলেছে লম্বা ছুটি। তাই পরিবারে সবাইকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগটা হাতছাড়া করেননি অনেকেই। স্ব-পরিবারে ছুটে এসেছেন সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটায়। উত্তাল ঢেউয়ে সমুদ্রস্নানে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তারা। ঈদের আনন্দটা যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতনই গর্জন দিয়ে উঠছে। আর সেকারণেই পর্যটকদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল মোটেল মালিকদের। আগামী দু-দিন পর্যটক সংখ্যা আরো বাড়বে বলে দাবি পর্যটন সংশ্লিস্টদের।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা একাধিক পর্যটক জানায়, ঈদের আনন্দ বাড়াতে ও এই সময়টাকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য কুয়াকাটায় এসেছেন তারা। ব্যস্ততম জীবনে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘোরার সময় পাওয়া খুব কঠিন, তাই ঈদের ছুটি বেশি হওয়ায় প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা।

পর্যটকরা আরও জানান, কুয়াকাটার উত্তাল ঢেউ মন মাতিয়েছে তাদের। সী-বিচের কাছাকাছি এসে সাগরের ঢেউয়ের গর্জন শুনেই তাদের যাত্রা পথের ক্লান্তি শেষ হয়ে গেছে। তবে এখানে হোটেল-মোটেল নিয়ে কিছুটা ভোগান্তির কথা জানান পর্যটকরা। এখানে ভালোমানের হোটেল-মোটেল সংখ্যায় অনেক কম। ভালোমানের হোটেল-মোটেলে রুম পাওয়ার জন্য অনেক পর্যটককেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক নাজমুন্নাহার মুন্নি বলেন, ‘কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে আমি এই প্রথমবার এসেছি। অনেক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এবারের ঈদুল আজহায় কুয়াকাটায় আসবো। পরিবারের সঙ্গে গতকাল (বুধবার) বিকেলে এখানে এসেছি। সর্বপ্রথম সূর্যাস্ত দেখেছি এবং সারারাত না ঘুমিয়ে অপেক্ষা করছি সূর্যোদয় দেখার। সারারাত জেগে থেকে যখন সূর্যোদয় দেখেছি তখন মনে হলো সুদুর চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা স্বার্থক হয়েছে।’

তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা বলেন, ঈদুল আজহায় পরিবারের কর্মব্যস্ততা থাকায় ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন দুর-দুরন্তের পর্যটকরা আসেনি। তাই বৃহস্পতিবার এবং আগামী শুক্রবার পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। তবে ঈদের অনেক আগে থেকেই সি-বিচ ও এর আশপাশের বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং দিয়েছে পর্যটকরা। তাই অনেক পর্যটককেই সী-বিচ থেকে কিছু দূরের হোটেল-মোটেলে উঠতে হবে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর ফসিউর রহমান বলেন, ‘এবারের ঈদে অন্য বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে বর্তমানে কুয়াকাটার ১৩টি স্পটে অর্ধ লাখেরও বেশি পর্যটকের উপস্থিতি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিটি স্পটে ৫ জন করে টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!