• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ


নাটোর প্রতিনিধি মে ২১, ২০১৮, ০৫:৪৯ পিএম
নাটোরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ

নাটোর : জেলা সদর উপজেলার ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয় ও ইয়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সদ্য এসএসসি পাস শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে না দিয়ে অভিনবভাবে জোরপূর্বক একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে।

নাটোর সদর উপজেলার ইয়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা কর্তৃপক্ষের এই অভিনব প্রতারণা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন কি না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য উপাত্ত অনলাইনে ভর্তির আবেদন শিক্ষকরাই করেছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে গত ১৫ মে নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন কৈগাড়ী কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা ও সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী মো. রকি আহমেদ। ইয়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এডমিট কার্ড নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ করেছেন জেকের আলী, হোসেন আলী, মামুন মোল্লা, বাক্কার আলীসহ অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে সদ্য এসএসসি পাস শিক্ষার্থী মো. রকি আহমেদ অভিযোগ করেন, গত ১২ মে আমার (রকির) অনুপস্থিতিতে আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে মূল এডমিট কার্ড ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়ে যান। পরে ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ে এডমিট কার্ড ফেরৎ আসতে গেলে অধ্যক্ষ ফেরৎ না দিয়ে বলে তুমি নাটোরের কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। নাটোরের বাহিরে কোনো কলেজে ভর্তি হতে হবে।

রকি আহমেদ আরও অভিযোগ করেন, এইচএসসিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে জানতে পারি, আমার এডমিট কার্ড ব্যবহার করে নাটোরের বাহিরের একটি কলেজে আগেই কেউ এক জন আবেদন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের নিকট পিন নাম্বার চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন।

এমতাবস্থায় শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবার আশঙ্কায় কথা জানিয়েছেন সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী মো. রকি আহমেদসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। তারা নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে ফোন করলে ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান রিসিভ করেননি। তবে প্রভাষক রাকিবুল হাসান বলেন, দুই-একজনের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছিল, তা আবার সমাধানও করা হয়েছে।

নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, এই ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমানকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!