• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউ ইয়র্কে বিস্ফোরিত হয় ‘প্রেশার কুকার বোমা’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬, ১১:৫৮ এএম
নিউ ইয়র্কে বিস্ফোরিত হয় ‘প্রেশার কুকার বোমা’

নিউ ইয়র্ক সিটির চেলসি এলাকায় শনিবার রাতে যে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে তা স্প্লিন্টার ভর্তি প্রেশার কুকার বোমার মাধ‌্যমে। একই রাতে আরেকটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সেটিও ছিল প্রেশার কুকার বোমা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে বোস্টন ম্যারাথনে এ ধরনের বোমা ব্যবহার করেই হামলা চালানো হয়েছিল।

আইন প্রয়োগকারী শীর্ষ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, উভয় ডিভাইস বিস্ফোরণের জন্য ফ্লিপ ফোন এবং ক্রিসমাস লাইট ব্যবহার করা হয়। 

শনিবার রাতে ম্যানহাটনের চেলসি এলাকায় বিস্ফোরণে আহত হয় ২৯ জন। কর্মকর্তারা এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য ও সন্দেহভাজনদের বিষয়ে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয় ডিভাইসটি উদ্ধার করা হয় কিছু দূর থেকে। যা ছিল একটি প্রেশার কুকার বোমা। তবে রোববার সেটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করে বোমা স্কোয়াডের সদস্যরা।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বলেন, ‘বিস্ফোরিত বোমার মতোই ছিল উদ্ধার করা দ্বিতীয় ডিভাইসটি। তবে নিউ জার্সিতে বিস্ফোরিত পাইপ বোমার চেয়ে একেবারে ভিন্ন ধরনের বোমা ছিল নিউ ইয়র্কে বিস্ফোরিত ও উদ্ধার হওয়া বোমা। যারাই এ কাজ করে থাকুক, আমরা তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করব।’

এ বিস্ফোরণের দায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এখনো স্বীকার করেনি। তবে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।

নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে, নাকি ব্যক্তিগত উদ্দেশে- আমরা তা জানি না।’

‘আমরা জানি, বোমা হামলা হয়েছে। আমরা বুঝছি, এটি একটি মারাত্মক ঘটনা। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে এ হামলা হয়েছে, তা জানতে আমাদের অনেক কিছু করার আছে।’

এদিকে শনিবারের বিস্ফোরণের পর নিউ ইয়র্কে অতিরিক্ত ১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!