• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ কর্তৃক তথ্য নেয়ার প্রক্রিয়া বৈধ: হাইকোর্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৩, ২০১৬, ০৩:১০ পিএম
পুলিশ কর্তৃক তথ্য নেয়ার প্রক্রিয়া বৈধ: হাইকোর্ট

বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের প্রেক্ষাপটে ডিএমপি বিধিমালার বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পুলিশ যেন জনগণকে অযথা হয়রানি না করে। এ ছাড়া পুলিশের নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ আইনানুগ হতে হবে।

এ বিষয়ে দেওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের যে তথ্য পুলিশ সংগ্রহ করেছে সেগুলো কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করতে বলেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম, ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা।

গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে মহানগর পুলিশ।

এই প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর জারি হওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশ (নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার ৪(খ) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ মার্চ আরেকটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, এস এম এনামুল হক ও সুপ্রকাশ দত্ত।

পুলিশ বিধিমালার ৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নকারী যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহতকরণসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে দ্রুত ‘যেকোনো’ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে। ওই ধারা সংবিধানের ২৬, ২৭, ৩২ ও ৪৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে রিট আবেদনটি করা হয়।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ ২৭ মার্চ রুল দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার ৪(খ) ধারায় যুক্ত ‘যেকোনো’ শব্দটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ  রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।

রুল হওয়ার পর দিন ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ রুল বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

গত ৭ এপ্রিল শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন। এই রুলের ওপর গত ৮ আগস্ট শুনানি শেষ হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!