• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় কাঁকড়া চাষে সফল ৩০ হাজার পরিবার


ভোলা প্রতিনিধি অক্টোবর ৮, ২০১৬, ০৪:৫৮ পিএম
ভোলায় কাঁকড়া চাষে সফল ৩০ হাজার পরিবার

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৪ উপজেলায় উৎপাদিত কাঁকড়া মধ্যে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা বিখ্যাত। দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস কাঁকড়া শিকার করা ও পুকুর বা হ্যাচারীতে কাঁকড়া চাষ করা। চরফ্যাসন ও মনপুরার উপকূলের ৪০ হাজার হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান জুড়ে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে কাকড়া মহল।

এছাড়াও উপজেলাগুলোর উপকূলে নদী, খাল ও পুকুরে হ্যাচারী তৈরি করে কাঁকড়া চাষ করছে অনেক চাষীরা। চাষীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকে হ্যাচারীতে। কম খবর ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় অনেকে এ ব্যবসায় ঝুকে পড়ছে। আর কাঁকড়া চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে অনেকেই। কাঁকড়া চাষে ব্যাংক ঋণের সুবিধা না পেয়ে মোটেও চিন্তিত নয় তারা। তবে কাঁকড়া চাষের উপর সরকারিভাবে উন্নত প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতার সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানিয়েছে উপকূলের কাঁকড়া চাষীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরকুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েকটি চর ও মনপুরা উপজেলার মনপুরা বিভিন্ন স্থান ও ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি চরের প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের আয়ের উৎস্য কাকড়া চাষ ও শিকার করা। তারা বিভিন্ন পুকুরে খাল বা নদীর সাথে পাইব দ্বারা সংযোগ করে হ্যাচাড়ি তৈরি কাকড়া চাষ করেন। এছাড়াও ওই এলাকাগুলোর কয়েক হাজার পরিবার বিভ্ন্ন নদী ও খাল থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কাকড়া শিকার করছে। তাদের এ আধুনিক পদ্ধতিতে কাকড়া শিকার করার জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থ্যা প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কাকড়া শিকার ও চাষ করে অনেকে তাদের ভাগ্য পরিবতন করেছে। অনেকে হয়েছে স্বাবলম্বী।

এদিকে, কাঁকড়া চাষ করে সাফলতা ও তাদের উৎপাদিত কাকড়া ঢাকা রপ্তানি হচ্ছে সেখান থেকে বিশ্বের ১৮ দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান কাঁকড়া চাষীরা।

চরফ্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া এলাকার কাকড়া চাষী আবদুল শহীদ জানান, আমি আগে কাকড়া শিকার করতাম। দুই বছর আগে একটি বেসরকারি এনজিওর থেকে কাকড়া চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে কাকড়া চাষ শুরু করি। এছাড়াও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারাও আমাকে সহযোগিতা করেন। তাদের সকলের সহযোগিতায় আমি কাকড়া চাষ করে আজ স্বাবলম্বী হয়েছে। এখন আমি কাকড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করি।

মনপুরা উপজেলার ঢালচর এলাকার কাকড়া চাষি রফিক মিয়া জানান, আমি অনেক আগে কাকড়া শিকারিদের থেকে কাকড়া কিনে একটি হ্যাচাড়ী তৈরি করি সেখানে কাকড়া চাষ করতাম। এরপর তিনটি হ্যাচাড়ী তৈরি করি। এখন আমি কাকড়া পইকারি বিক্রি করে অনেক স্বাবলম্বী। আমার হ্যাচাড়ীর কাকড়া বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা কিনতে আসে।

একই উপজেলার হাজির হাট এলাকার কাকড়া ব্যবসায়ী সাত্তার আলী জানান, আমি বছরে বার মাস কাকড়া শিকার করি কাকড়া শিকারে আমি আমার ভাগ্য পরির্বতন করেছি। প্রতিদিনই আমি বিভিন্ন নদী ও খাল থেকে কাকড়া শিকার করে পাইকারি আড়াৎদারদের কাছে বিক্রি করি। তাদে আমার প্রতিদিন ইনমাক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মলিক বলেন, কাঁকড়া চাষেল উপর মনপুরা ও চরফ্যাশন প্রকল্প হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত কাঁকড়া চাষের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পে চাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে।

এদিকে নদী ও খালগুলোতে কাঁকড়া শিকার করে অনেক পরিবারের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়াও উপকূলে কাঁকড়া শিকারের ফলে অনেক বেকার যুবকরা অর্থ উপাজনের সুযোগ পেয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!