লেবাননের বিপক্ষেও বড় জয় প্রত্যাশা মারিয়া-শামসুন্নাহারদের

ঢাকা: বাংলাদেশের ফুটবলে দিনের পর দিন ছেলেরা পিছিয়ে পড়লেও, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা। জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক সবখানেই নারী ফুটবলারদের জয়জয়াকার। সর্বশেষ চলমান এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। সোমবার ‘এফ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে মারিয়া-শামসুন্নাহাররা।  

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় কলমাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। তুলনামুলক বাহরাইনেই চেয়ে শক্তিশালী দল লেবানন। প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে তারা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছে ৫-৩ গোলে।

তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় লেবানিজ মেয়েরা। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা সহজ হবে না তাদের জন্য। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বড় জয় পাওয়ায় এই মুহুর্তে ফুরফুরে মেজাজে লারল সবুজের দল। এই গ্রুপে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পর তৃতীয় শক্তিশালী দল লেবানন। তাদের বিপক্ষে মারিয়া-শামসুন্নাহাররা কত ব্যবধানে জয় পায় দেখার বিষয়।

এই ম্যাচকে সামনে রেখে মঙ্গলবার কমলাপুরে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ও লেবানন উভয় দল। বাংলাদেশ দলের সবাই সুস্থ্য আছে। কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। লেবাননের পর ২১ সেপ্টেম্বর মারিয়া মান্ডা-শামসুন্নাহারদের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ভিয়েতনামের মেয়েদের বিপক্ষে।

১৫ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমলাপুরে হবে এই প্রতিযোগিতা। লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল সুযোগ পাবে পরবর্তী বাছাইপর্ব খেলার। এবারের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া ছয় গ্রুপের শীর্ষ ছয় দল ও সেরা দুই রানার্স-আপ দল নিয়ে হবে আরেক বাছাই। সেখান আটটি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই গ্রুপ থেকে সেরা চারটি দল সুযোগ পাবে চূড়ান্তপর্বে খেলার। আগেই চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে রেখেছে আয়োজক থাইল্যান্ড, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্স-আপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান।

২০১৬ সালে বাংলাদেশে হয়েছিল এএফসির বাছাইপর্ব। সেবার বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল। অবশ্য থাইল্যান্ডে চূড়ান্তপর্বে আট দলের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল। সেবারও বাংলাদেশ দলের টিম স্পন্সর ছিল ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এবারও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের টিম স্পন্সর হিসেবে আছে ওয়ালটন গ্রুপ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই