• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
কবির জন্মবার্ষিকী

সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হচ্ছে বন্দে আলী মিয়ার কর্ম


পাবনা প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১০:৫৬ পিএম
সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হচ্ছে বন্দে আলী মিয়ার কর্ম

পাবনা: শিশু সাহিত্যের নান্দনিক কবি, বিখ্যাত ময়নামতি চরের কবি; কবি বন্দে আলী মিয়ার ১০৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লায় জন্ম গ্রহণ করেন কবি বন্দে আলী মিয়া। এদিকে যথাযথ সংরক্ষনের অভাবে বিলীন হতে বসেছে কবি বন্দে আলী মিয়ার রেখে যাওয়া কর্ম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কবি বন্দে আলী মিয়া পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমী থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌ-বাজারস্থ ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমী থেকে চিত্রবিদ্যায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কর্মের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ ২০ বছর চাকরি। তিনি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহন করেন।

পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেছেন। এ সময় বন্দে আলী মিয়া গল্পের দাদু নামে শিশুদের একটি অনুষ্ঠান করতেন। ১৯৭৯ সালের ২৭ জুন ৭৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর কাজিরহাট অঞ্চলের বাসভবনে ইন্তেকাল করেন কবি। পরে তাকে কবরস্থ করা হয় নিজগ্রাম পাবনার রাধানগরে। সরকারিভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করা হলেও দিনটি স্মরণ করে পাবনার কবি ভক্ত ও অনুরাগীরা। কবির মৃত্যুর পর যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে বসেছে কবির পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লার বসতবাড়ি কবিকুঞ্জ ও রেখে যাওয়া কর্মগুলো।

কবি বন্দে আলী মিয়া ছিলেন, একাধারে গীতিকার, উপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী। কবির অনেক লেখা এখনও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পরে আছে, যেগুলো সরকারি উদ্যোগে ছাপার দাবি জানান তার পরিবারের সদস্যরা।

কবির স্বজনরা বলেন, পারিবারিক উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব হয় তারা কবির বাড়ি ও তার রেখে যাওয়া কর্মগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তাদের দাবি সরকারি উদ্যোগে কবির কর্মগুলো সংরক্ষণ করা হোক।

এদিকে সরকারি উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দাবি জানিয়েছেন, কবি বন্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল ইসলাম রাঙা। ইতোমধ্যে পাবনাবাসীর দাবির মুখে জেলা পৌরসভার উদ্যোগে কবির নামে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নামকরণ করা হয়। এছাড়া বন্দে আলী মিয়া শিশু শিক্ষা নিলয় এবং জেলার আটঘরিয়া উপজেলায় কবি বন্দে আলী মিয়া নামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কবি বন্দে আলী মিয়া শিশুদের জন্য ১০৫টি শিশুতোষ গ্রন্থসহ ১৩৬ টি বই রেখে গেছেন। শিশু সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি বন্দে আলী মিয়া ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। সাহিত্যকর্মে তার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে মরনোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় কবি বন্দে আলীকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!