• ঢাকা
  • রবিবার, ০২ জুন, ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রতিদিনই বাড়ছে মরদেহের চাপ

কবরস্থানে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জুন ২৭, ২০২১, ০৪:০০ পিএম
কবরস্থানে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই

ছবি : সংগৃহীত

সাতক্ষীরা : করোনায় দেশে প্রতিদিনই মরছে মানুষ। এই ভাইরাসে সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর হার কমছে না। সাতক্ষীরা কামালনগরে কবরস্থানে জায়গা খালি নেই। প্রতিদিন এ কবরস্থানে দাফন হচ্ছে একাধিক মরদেহ। যাদের মধ্যে করোনা ও করোনার উপসর্গ রয়েছে।

কামালনগর কবরস্থানের গোরখোদক মো. রেজাউল ইসলাম ও মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, তারা এখানে মৃত মানুষের জন্য ১৫-২০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন। এর আগে কবর খুঁড়লে পুরনো হাড়গোড় বের হতো। কিন্তু সম্প্রতি তারা লক্ষ্য করছেন কবর খুঁড়তে কোদাল চালাতেই বেরিয়ে আসছে তাজা মরদেহ। তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অধিক মৃত্যুর কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। করোনার আগে সপ্তাহে দুই-একটি, মাসে ১০-১২টি এবং বছরে এক-দেড়শ’ মরদেহ দাফন করা হতো। কিন্তু গত প্রায় একমাসে ৭০-৮০টি মরদেহ দাফন হয়েছে বলে জানান তারা।

তারা বলেন, মরদেহের দুর্গন্ধে কবর খোঁড়াও এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। কখনও কখনও মানসিকভাবে ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলছি।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার কামালনগর কবরস্থান পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, মরদেহের চাপে কবরস্থানে তিল পরিমাণ খালি জায়গা নেই। গত ৯ জুন ২০২১ তারিখ থেকে ২৬ জুন ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ১৭ দিনে ২৬টি লাশ দাফন হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে জমির মালিকদের ৭০ লাখ টাকা বায়না দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে বাকি কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিত্তশালী ব্যক্তিরা এগিয়ে না আসায় থমকে গেছে কবরস্থান সম্প্রসারণের কাজ। এছাড়া এখন পর্যন্ত সরকারি কোনও সহায়তাও পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ, সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি। কবরস্থানটির সম্প্রসারণ না হওয়া পর্যন্ত দাফন কাজ স্থগিত করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!