• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুহিবুল্লাহকে হত্যার আগে ঘরে বসে কিছুক্ষণ কথা বলে দুর্বৃত্তরা


কক্সবাজার প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১১:৩০ এএম
মুহিবুল্লাহকে হত্যার আগে ঘরে বসে কিছুক্ষণ কথা বলে দুর্বৃত্তরা

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। ছবি : কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্পের অফিসে ঢুকে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেছে ১৫-২০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। তবে গুলি চালানোর আগে মুহিবুল্লাহর সঙ্গে ঘরে বসে কথা বলেছিল তারা। যাওয়ার সময় পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। এরমধ্যে তিন রাউন্ড গুলি বুকে লাগে মুহিবুল্লাহর।

নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ নম্বর এপিবিএনর পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুহিবুল্লাহ (৫০) মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার লংডাছড়া গ্রামের মৌলভি ফজল আহমদের ছেলে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মংডু টাউনশিপের সিকদারপাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন মুহিবুল্লাহ।

পরিবারের বরাত দিয়ে এপিবিএনের পুলিশ সুপার নাইমুল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীরা মুহিবুল্লাহর ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেছে। তারা ১৫-২০ জন ছিল। যাওয়ার সময় গুলি চালায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সদর হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত হবে।’

এআরএসপিএইচের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাকে হত্যা করায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। এ সমাবেশে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা জড়ো হয়। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গঠিত মুহিবুল্লাহ সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন আলোচনায় উঠে আসেন।

এর আগে ২০১৯ সালে ১৭ জুলাই ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার বিশ্বের ১৭ দেশের ২৭ জন প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মুহিবুল্লাহ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!