মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫ 

মুন্সিগঞ্জ :মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দিতে নির্বাচনি সহিংসতায় আব্দুল হক (৪৮) নামে এক আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন।

রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নৌকা প্রতীকের পাঁচ সমর্থক। তাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো কয়েছে। অন্য দুইজন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আগামী ২৮ নভেম্বর চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া ও ‘বিদ্রোহী’ (আনারস প্রতীক) প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছিল। গতকাল রাতে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সমর্থকদের ওপর।

এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে। ভাঙচুর চালায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে। হামলায় নৌকার সমর্থক শরীফ, সাইফুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজান গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে নৌকার সমর্থক আব্দুল হক মারা যান।

তবে তার স্বজনদের দাবি, মারধর করে হত্যা করা হয় আব্দুল হককে। আব্দুল হকের স্ত্রী কল্পনা জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে ঘরের ভেতর অবস্থান করছিলেন। সেসময় বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আখতারুজ্জামান জীবনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সামসুদ্দিন হাওলাদার মামুন ও তার স্ত্রী জেসমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এমনকি তারা তাদের ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে গলা চেপে হত্যা করেন।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুলিবিদ্ধ ইউসুফ ও সানি জানান, তারা বিস্ফোরণের শব্দে ও হামলার ভয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তাদের ওপর গুলি ছুঁড়ে মামুন-জেসমিনের সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহাগ জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর জানান, একজন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধের খবর শুনেছি। খবর পেয়ে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই