• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ার আগলাঘর রেস্টুরেন্টের স্বাদেভরা হাঁসের মাংস 


শেখ সাখাওয়াত হোসেন মে ৩১, ২০২৩, ১১:২০ এএম
ভাঙ্গুড়ার আগলাঘর রেস্টুরেন্টের স্বাদেভরা হাঁসের মাংস 

পাবনা: ভোজন রশিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে ভাঙ্গুড়ার আগলাঘর রেস্টুরেন্ট। 

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল বাজারে গত মার্চে রেস্টুরেন্টটি চালু হয়েছে। চালুর তিন মাসের মধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছে ভোজনপ্রিয় মানুষের মাঝে। প্রতিদিনই রেস্টুরেন্টটি দেখতে ও খাবারের স্বাদ নিতে সেখানে ছুটছেন নানা বয়সী অসংখ্য নারী-পুরুষ। ঘরোয়া পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার পরিবেশন এবং খাবারের মান নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন তারা।

পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া, ফরিদপুর, চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষ মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারযোগে খাবার খেতে আসেন এই রেস্টুরেন্টে। 

এখানে দেশীয় হাঁসের মাংস পাওয়ার কারণে জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। রেস্টুরেন্টের টেবিলে রাখা গামলা ভর্তি হাঁসের মাংস। নিরিবিলি পরিবেশে খেতে আসছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। কেউবা পার্সেল করে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। রেস্টুরেন্টে সাধাসিধে আয়োজন এবং সুন্দর সাবলীল পরিবেশনায় সকলের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে।

আগলাঘর রেস্টুরেন্টের কথা জানতে পেরে পরিবার নিয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার এস আর পাড়া থেকে খেতে এসেছেন এম জি এম সজল। কথা হলে তিনি জানান, ভাঙ্গুড়ার আগলাঘর রেস্টুরেন্টের কথা শুনে বেশ কয়েক দিন থেকেই আসার পরিকল্পনা করছিলাম। আজকে এখানে পরিবারকে নিয়ে আসছি। রান্না খেয়ে অনেক ভালো লাগলো। শহরের তুলনায় দামও কম। এখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশন একদম ঘরোয়া। এখানে আসার মূল কারণ হলো ভালো হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগলো।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হোটেল মালিক মোঃ সোহেল রানা সুনামের সহিত ব্যবসা করে যাচ্ছেন। হাঁসের মাংস দিয়ে খিচুরি অনেক সুস্বাদু হওয়ায় অল্প দিনেই পরিচিত লাভ করেছে রেস্টুরেন্টটি‌। ভবিষ্যতে তাদের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ব্যাপক পরিচিত লাভ করবে।

ক্রেতাদের নিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল রানা সোনালীনিউজকে বলেন, দুরদুরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে একবেলা হাঁসের মাংস দিয়ে খিচুরি খাওয়ার জন্য ছুঁটে আসেন। দুপুর থেকে শুরু করে রাত অবধি খোলা থাকে। তবে শুক্রবার ও শনিবার আর সরকারি ছুটির দিনে বেশি লোকজন আসে দূর-দূরান্ত থেকে। সততা ও নিষ্ঠা সহিত ব্যবসা করে যেতে সকলের দোয়া কামনা করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!