• ঢাকা
  • রবিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হাঁস ধরা খেলা অনুষ্ঠিত


মোহাম্মদ আমিনুল হক বুলবুল,নান্দাইল জুলাই ২, ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম
নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হাঁস ধরা খেলা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহ: ঈদ মানে খুশি,ঈদ মানে আনন্দ। আর এই আনন্দকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হাঁস ধরা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ জুলাই) উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের চৈতনখালী গ্রামে আলীম উদ্দিন ব্যাপারীর বাড়ির পুকুরে শান্তিময় স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে এই হাঁস ধরা খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এ হাঁস ধরা খেলার উদ্বোধন করেন বীরবেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আব্দুল মতিন।

খেলায় ১০ টি ইভেন্টে ১০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।প্রতি ইভেন্টে ১০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ১০০ টাকা দিয়ে প্রতিটি টিকেট সংগ্রহ করেন প্রতিযোগীরা। এসময় উৎসুক বিভিন্ন বয়সী হাজারো নারী-পুরুষ পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে এ খেলা উপভোগ করেন।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামীণ বিলুপ্তপ্রায় হাঁস ধরা খেলা দেখতে সকাল থেকেই আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ আলীম উদ্দিন ব্যাপারীর বাড়ির পুকুরপাড়ে ভিড় করছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। 

সকাল ১১ টায় পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয় ১টি হাঁস। রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে ঝাঁপ দেন ১০জন। পঁকুরের চারপাশে জড়ো হয়ে থাকা হাজারো মানুষ করতালি ও চিৎকার দিতে থাকনে। হাঁস ধরতে শুরু হয় হইচই। ধারাবাহিকভাবে ১০টি ইভেন্টে ১০০ মানুষ এই হাঁস ধরার খেলায় অংশ নেন। 

গ্রামীণ হাঁস ধরা খেলা দেখতে আসা সুমি আক্তার বলেন, পুকুরে হাঁস ধরা খেলা এই প্রথম দেখেছি। খুবই ভালো লেগেছে।

প্রতিযোগীতায় বিজয়ী এনামুল বলেন, হাঁস ধরা খেলায় আমি জিতছি।মোবাইল পাইছি।আমার খুবই ভালা লাগছে।

হাঁস ধরা খেলার অন্যতম উদ্যোক্তা মানিক ব্যাপারী বলেন,সবাইকে ঈদের আনন্দ দেওয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন।হাজারো মানুষ এ খেলা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন। এটি আমাদের প্রথম আয়োজন। ভবিষ্যতেও আমরা এ খেলার আয়োজন করবো।

বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য এ খেলা প্রাণভরে উপভোগ করলাম।এখন আর গ্রামীণ এসব খেলার আয়োজন করা হয়না।তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

এ বিষয়ে বীরবেতাগৈর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আব্দুল মতিন বলেন, হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত রাখতে এসব ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খেলার আয়োজন প্রশংসনীয়। প্রতি বছর এই হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো আয়োজন করা উচিত।আমি তাদের এ চমৎকার আয়োজনকে স্বাগত জানাই।

খেলা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১০ জন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসাবে ১০টি মোবাইল ফোন বিতরণ করা হয়।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন,প্রকৌশলী ফজলুল হক,স্থানীয় ইউপি সদস্য নয়ন মিয়া,সমাজসেবক আব্দুস সালাম ফরাজি,স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফারুক মিয়া,ব্যবসায়ী রুবেল ব্যাপারী,জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম,মাজহারুল ইসলাম, মতিউর রহসান প্রমুখ। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!