• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা মানুষ


বগুড়া প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ১১:০৬ এএম
আবারও যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা মানুষ

বগুড়া: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা এলাকায় যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের পর শনিবার সকালে আবার ভাঙন দেখা দেয়।

ইছামারা এলাকায় আবদুল মুন্নাফ প্রামানিক, ফুলটু প্রামাকি, জহরুল ইসলাম, মানিক, মুকুল, মোসলেম প্রামাকি, দোলা আকন্দ, শাহেনা বেগম, চাঁন মিয়াসহ কমপক্ষে ৩০টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, নতুন ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ইছামারায় যেসব ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছিল তা উঠতে শুরু করেছে। যমুনা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার মুহূর্তের মধ্যে ৮০টি বাড়িঘর ভেসে যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে ওইসব বাড়িঘরের লোকজন। তারা উঁচু বাঁধ বা আশপাশের স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।



এদিকে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে দুর্গত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। টিনের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। টিন পেলে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আপাতত তাঁবু দিয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া হবে।

শনিবার বিকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কামালপুরের ইছামারা, টিটুর মোড়, ফকিরপাড়া খোকার মোড় এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া চরাঞ্চল বোহাইল, কাজলা, কর্ণিবাড়ির নিচু জায়গাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। জনগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। পাউবোর কর্মকর্তারা জানান, উপজেলার হাসনপাড়া স্পারের ভাঙন সাময়িকভাবে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। স্পার আপাতত নিরাপদ রয়েছে।



উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উপজেলায় ১৭২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৫০ হেক্টর, আমন বীজতলা ১২ হেক্টর ও শাক-সবজি ১০ হেক্টর নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, বাঁধ ভেঙে গেলে অন্তত ১৫০০ বিঘা জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হবে। ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুজ্জামান রাছেল জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে কামালপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল হয়ে কমতে শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!