• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

কক্সবাজার সৈকতে তরুণীকে কান ধরে ওঠবস করানো সেই যুবক ডিবি হেফাজতে


জেলা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
কক্সবাজার সৈকতে তরুণীকে কান ধরে ওঠবস করানো সেই যুবক ডিবি হেফাজতে

কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে কান ধরিয়ে ওঠবস-মারধর করানোর অভিযোগে ফারুকুল ইসলাম নামে এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নিদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওসি জাবেদ মাহমুদ।

ডিবি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।

ডিবির ওসি জানান, সৈকতে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস এবং মারধর করায় অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

এর আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক তরুণীকে কান ধরে উঠবস এবং মারধর করা হচ্ছে; এ রকম একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে সৈকতে এক তরুণীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো এবং লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে এবং তা পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন একদল অতিউৎসাহী জনতা।

কান ধরে ওঠবস করানোর ওই ভিডিও ছাড়াও ফেসবুকে আরও দু'টি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এর একটিতে দেখা যায়, সৈকতে চেয়ারে বসা এক নারীকে একদল যুবক গিয়ে চলে যেতে বলছেন। এক পর্যায়ে তাঁকে পেটানোর ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানেও লাঠি হাতে ওই যুবককে দেখা যায়।

আনেকটি দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ‘কড়াই’ রেস্তোরাঁর সামনে টুরিস্ট পুলিশ বক্সে পুলিশ সদস্যের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত এক নারী।  মোবাইল ফোন চাচ্ছেন আর উপস্থিত জনতার কাছে বারবার ক্ষমা চাচ্ছেন। তিনি (নারী) বলছেন, তার ফোনটা ফেরত দিলেই টিকিট কেটে চলে যাবেন।

এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ আবার যৌনকর্মী- তৃতীয় লিঙ্গের বলে হেনস্তাকারীদের পক্ষে ও সাফাই গাইছেন।

সচেতন মহলের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ছাত্র বা সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে এখন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।

তবে এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়কেরা বলছেন, সৈকতে নারীকে পেটানো যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নয়। এমন অপরাধের সঙ্গে আমাদেরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এম

Wordbridge School
Link copied!