কুড়িগ্রাম: চোখের সামনে বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছেন মা, টাকার অভাবে স্ত্রীর সঠিক চিকিৎসা করতে পারছেন না বাবা, তাইতো মাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন সন্তানেরা।
দীর্ঘ তিন মাস রংপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার পর দুর্গারানীর ধরা পড়েছে লিভার ক্যান্সার। স্বামী শিবুদাসের অভাবি সংসারে ছোট ছোট তিনটি সন্তান।একদিকে তিন সন্তানের ভরন পোষন, আর অন্যদিকে লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা ভার বহন করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিবু।
শিবুর বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাণকৃষ্ণ গ্রামে। গৃহহীন হওয়ায় ৪ শতাংশ জমিতে সাবেক সরকারের দেয়া একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সারাদিন জুতো সেলাই করে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে পরিবারের ভোরন পোষন কোনভাবে চলে যেত তার। কিন্তু স্ত্রীর মরণব্যাধির পর চিকিৎসা ব্যায় মেটানো দূরহ হয়ে গেছে শিবুদাসের। অসহায়ের মতো দেখতে হচ্ছে মত্যুশয্যায় থাকা স্ত্রীর রোগযন্ত্রণা।
শিবু ও দুর্গা রানীর ছেলে অর্ণব জানান, আমার বাবা রবিদাস সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তার আয় ইনকাম খুব সীমিত। তিনি যে আয় করেন, সে আয় দিয়ে আমাদের সংসারী চলে না। কিন্তু এখন আমার মা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত, আমার বাবা পক্ষে এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব না। তাই আমার মাকে বাঁচাতে এদেশের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
শিবুদাসের প্রতিবেশী মুসা কালাম ও মিলি জানান, শিবু আমাদের রবীন্দ্র সম্প্রদায়ের প্রতিবেশী। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার পর এখন শুনতে পারছি তার স্ত্রীর লিভার ক্যান্সার হয়েছে। সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা ও সরকার যদি চিকিৎসার জন্য একটু সহযোগিতা করে তাহলে মনে হয় শিবুর স্ত্রী বেঁচে যাবে।
দূর্গা রানীর স্বামী শিবু বলেন, ‘সারাদিন মানুষের জুতা সেলাই করে যা আয় হতো, তা দিয়ে এতদিন কোন ভাবে সংসার চলে যেত। অনেকদিন ধরে স্ত্রী অসুস্থ থাকলেও কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন আমার স্ত্রীর লিভার ক্যান্সার ধরা পড়েছে, যার চিকিৎসা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কাছে চিকিৎসার জন্য আমি সহযোগিতা কামনা করছি।’
দুর্গারানীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগীতা কামনা করছে তার পরিবার। সাহায্য পাঠানো যাবে শিবুদাসের ব্যাক্তিগত ০১৭৪০-০৮৫৩১১ বিকাশ নাম্বারটিতে। সবার সামান্য সহযোগীতাতেই হয়তো সুস্থ হয়ে যাবেন দুর্গারানী। হয়তো আরও কিছুদিন মায়ের স্নেহ পাবে তার ছোট্ট সন্তানেরা।
এসএস