লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে নানান অজুহাতে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সম্রাট খীসা তাকে বরখাস্ত করেন।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষক ফরিদার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
বরখাস্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়, ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় তাকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তবে বরখাস্তকালীন প্রবিধানমালায় বর্ণিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জানা গেছে, বুধবার বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে অভিযুক্ত শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, ফরিদার কাছে প্রাইভেট না পড়লে নানান অজুহাত দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। একই সঙ্গে সহকর্মী অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। ২১ নভেম্বর তার অসদাচরণের ঘটনায় বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শাহনাজ আক্তার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ফরিদা ইয়াছমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বুধবারের পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ফরিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এসএস