ছবি : প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জাল দলিলকে পুঁজি করে ব্যবসায়ী এটিএম জাকির হোসেনের ১ একর ২০ শতাংশ জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। সম্পতি জমি থেকে গাছসহ ২ লাখ টাকার ফল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনি আমিন খাঁন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে মারধরের শিকার হন জমির ইজারাদার শফিকুল ইসলাম খান। এ ঘটনায় রায়পুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভূক্তভোগী জাকির হোসেন ঘটনাটি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা চেয়েছেন। হুমকির কারণে তারা নিরাপত্তাহীন বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত বনি আমিন রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত ইয়াকেতুর রহমান খাঁনের ছেলে। অভিযোগকারীর জাকির একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান খাঁনের ছেলে। তিনি ঢাকায় মাইক্রো-কার ব্যবসা করেন।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য ও কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, ১৯৫৩ সালে বনি আমিনের বাবা ইয়াকুতের রহমান খাঁন জাল দলিল করে তার ভাইদের জমি নিজের দাবি করেন। পরে তার অন্য ভাইদের মামলায় তিনি ১১ মাস জেল খেটেছেন। আদালতের নির্দেশনায় জাল দলিলও বাদ হয়ে যায়। ২০০২ সালে জাকির তার চাচা ইয়াকুতের রহমান ও জেঠাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ১ একর ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে তার বসতঘরসহ স্থাপনা রয়েছে। ব্যবসার কারণে তিনি ঢাকায় থাকেন। এতে জমিটি স্থানীয় শফিকুল ইসলাম ইজারা নেয়। সম্প্রতি বনি আমিন জাল দলিলকে পুঁজি করে ফের জাকিরের জমি দখলের পাঁয়তারা করে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর বনি আমিন জোরপূর্বক জাকিরের কড়ই, সুপারি, মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে জমির ইজারাদার শফিককে বেদম পিটিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় একইদিন জাকির বাদী হয়ে হয়ে বনিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর সুপারি-নারিকেলসহ ২ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এটিএম জাকির হোসেন খাঁন বলেন, বনি আমিনের বাবা জাল দলিল করে আমাদের জমি দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার বাবা ও জেঠাদের মামলায় তাকে জেল খাটতে হয়েছে। এখন ওই জাল দলিরের সূত্র ধরে বনি ফের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমার ইজারাদারকে বেদম মেরেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনি আমিন খাঁন। তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে জমি নিয়ে জাকিরদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে মামলা রয়েছে। ডিবি অফিসসহ বিভিন্নস্থানে ২৫ বার বৈঠক হয়েছে, কিন্তু তিনি কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, ইজারাদারকে মারধরের পর ঘটনাস্থল গিয়েছি। ওই ঘটনায় আদালত প্রসিকিউশন জমা দিতে বলেছে। আগামীকাল রোববার আদালতে প্রসিকিউশন জমা দেওয়া হবে।
জেইউবি/এসআই







































