পিরোজপুর: কাউখালীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক ও ৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরেজমিনে উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ৩ জন শিক্ষক রয়েছে ও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি সংখ্যা মাত্র ৬ জন।
বিদ্যালয়টির কাগজে-কলমে আরও দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। তৃতীয় শ্রেণীতে দুইজন ছাত্রী, চতুর্থ শ্রেণীতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণীতে দুইজন ছাত্র এবং দুইজন ছাত্রী সব মিলিয়ে বিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ৭ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগ্রহ কম। কারণ তারা তো মাস গেলে বেতন পাচ্ছে। বিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না পক্ষান্তরে মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাদ্রাসাতে ভর্তি করার চেষ্টা করে। এছাড়াও এক নারী অভিভাবক জানান, শিক্ষকদের আগ্রহ কম থাকার কারণে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী কমে গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার জানান, ভৌগলিক অবস্থা ও যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে।
সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, ভৌগোলিক সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষকরা যদি আন্তরিক হত তাহলে উক্ত বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেত।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যে বিদ্যালয়ে ২০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের নিকটতম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমন্বয় করা হবে। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এআর