লালমনিরহাট: মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে কটুক্তি করার অভিযোগে স্বনাতন ধর্মলম্বী বাবা ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
পরে তাদের বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান মানুষজন। খরব পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রোববার দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভার গোসালা বাজারের হানিফ পাগলা মোড় নামক এলাকা থেকে ওই বাবা ছেলেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, পৌরসভার সাপটানা নবীনটারী এলাকার মৃত খোকারাম শীলের ছেলে শ্রী পরেশ চন্দ্র শীল (৬৯) ও তার ছেলে শ্রী বিষঞু চন্দ্র শীল (৩৫)। তারা পেশায় নরসুন্দর। আটক বাবা ছেলে ওই হানিফ মোড় এলাকার এক সেলুনের দোকানে কাজ করতো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার নামাটারী এলাকার নাজমুল ইসলাম (১৯) রোববার দুপুরে ওই সেলুনের দোকানে চুল কাটতে যান।
চুল কাটা অবস্থায় অভিযুক্ত পরেশ চন্দ্র শীল নাজমুল ইসলামকে বলে, 'তোমার নবী কয়টা বিয়ে করছে? তোমার নবীর সর্বশেষ স্ত্রীর বয়স খুবই কম ছিল! তুমি এখন দাড়ি রাখতেছো কেন? বুড়া বয়সে দাড়ি রাখবা'সহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কটূক্তি মূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। একথা শোনে চুল কাটাতে আসা নাজমুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে উঠলে আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ছুটে আসেন। তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এসময় স্থানীয়রা বাবা ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে থানায় ছুটে আসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। তারা থানা প্রাঙ্গনে এসে বিচারের দাবীতে নানা স্লোগান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, এক-দেড় মাস পূর্বে গোসলা বাজার এলাকার সাজিদ হোসেন (১৮) ওই সেলুনের দোকানে চুল কাটাতে গেলে বাবা পরেশ চন্দ্র শীল ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল তাকেও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি মূলক কথাবার্তা বলেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী জানান, মহানবীকে কটুক্তি করার অভিযোগে পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণু চন্দ্র শীল নামে বাবা ছেলে দুই ব্যক্তিকে ঘিরে রাখে স্থানীয় জনতা।
পরে খবর পেয়ে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনার বিচারের দাবীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান মানুষজন থানা প্রাঙ্গনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আটকদের নামে মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।
এআর