বরগুনা: বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতারা 'সোনালী নিউজে' গত ২৮ আগস্টের সংবাদের প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা কমিটির সকল রকমের কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত সাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় গত ২০ আগস্ট ২০২৫ অনুমোদিত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হলো।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে সকল রকমের কার্যক্রম হইতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হইল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা শাখার কমিটিতে ঠাই পেয়েছে আঃলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক নেতা কর্মীরা। ঘটনায় হতাশা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বরগুনা জেলা বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরস সৃষ্টি হয়ে পড়েছিল বরগুনায়।
কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছিল আলহাজ্ব নুরুল ইসলামকে। যিনি গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেতলি প্রতীক নিয়ে বরগুনা ১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। অতীতে এমনকি তিনি আমতলীর আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে তার সহদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে পথসভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তিনি খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সাবেক এই কাস্টমস কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।
কমিটিতে একাধিক আ. লীগ নেতা কর্মীর নাম থাকা নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই না দোষ চাপিয়ে দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তালুকদারের ওপর।
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে বিতর্কিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধা দলে ঠাই পেয়েছে জানতে চাওয়া হলে তার সঠিক উত্তর দিতে গড়িমসির আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে অতীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার জনসভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়াও কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ দেয়া হয়েছিল আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা কমান্ডার এডভোকেট একেএম শামসুদ্দিন সানুকে, আরেক সহ সভাপতি করা হয়েছিল বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ দারুল ইসলাম মাস্টারকে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা কমিটিতে জেলা আওয়ামী নেতা সহ একাধিক আঃলীগের ব্যক্তিরা পদ পাওয়ায় তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা শাখার সদস্য এ জেড এম সালেহ ফারুক বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জার এবং বিব্রতকর। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়ার মত না। যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। আর দ্রুত এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ জানাই।
এআর







































