ফাইল ছবি
শেরপুর: ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের বাজারসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢলের এই পানিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক শিশু ও এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের লাশ রাতে উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা সেতু এলাকায় ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে চেল্লাখালী নদীতে ডুবে যায় হুমায়ুন (১২) নামের এক শিশু। সে স্থানীয় দুলাল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরে ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থানের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠলে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, দুপুরে পানির তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে পড়লে খৈলকুড়া বাজার এলাকার অন্তত ১২ থেকে ১৪টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনাও ভেসে গেছে।
অপরদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহর ছেলে ইসমাইল (১৭) মহারশি নদীর তামাগাঁও এলাকায় নদীতে ভেসে আসা গাছ (লাকড়ি) ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে নিখোঁজ হয়েছেন। তার লাশ এখনও উদ্ধার হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর রাত ৮টায় দেওয়া তথ্যমতে, চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত ১১৩ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ও রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এসআই







































