চট্টগ্রামের রাউজানে বাসচাপায় হেফাজতে ইসলামের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হাটহাজারীতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম–রাঙামাটি মহাসড়কে এ অবরোধ শুরু হয়। এতে দুই দিকেই শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে, ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও সাধারণ পথচারীরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রাউজানের নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার কাছে বাসচাপায় নিহত হন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০)। তিনি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন, এ সময় পেছন থেকে আসা একটি বাস ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
হঠাৎ অবরোধের কারণে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েন।
অবরোধকারীরা দাবি তুলেছেন, ঘাতক চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন ও বাসমালিক কর্তৃপক্ষের ‘অসহযোগিতা’র কারণেই তাঁরা অবরোধে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির স্থানীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। পুলিশ সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধারণ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
মাওলানা সোহেল চৌধুরী সন্দ্বীপের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাউজান পৌরসভার মেডিকেল গেট এলাকায় বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম ছিলেন।
এসএইচ







































